পেশায় পুলিশ কর্মী। কিন্তু তারপরেও তলে তলে পিএফআই-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন সিএ সিয়াদ। ঘটনার কথা পুলিশ বিভাগের অনেকেই জানত। তবুও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু পিএফআই নিষিদ্ধ হতেই তাঁর উপর নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল মুসলিম পুলিশ অফিসারকে।
এরণাকুলাম জেলার পথনিক্কড় পুলিশ শাখায় সিভিল পুলিশ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তারই মাঝে গত ২৩ সেপ্টেম্বর, কেরালা জুড়ে পিএফআই-এর ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। এরণাকুলামের একাধিক এলাকায় গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করার অভিযোগে একাধিক থানার পুলিশ বহু পিএফআই কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ, সিএ সিয়াদ তাঁর অফিসে বসেই বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার হওয়া পিএফআই সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, জামিন পাওয়া সম্ভব কতটা এসব ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। বেশ কয়েকটি থানায় নিজে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া পিএফআই কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তদ্বির করতে থাকেন।
ওই পুলিশ অফিসারের এহেন কর্মকান্ড এরণাকুলাম পুলিশ সুপারের নজরে আনেন পথনিক্কড় থানার এসএইচও। তারপরই ওই পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করেন পুলিশ সুপার। সেই সঙ্গে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় এক ডিএসপির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার বিবেক কুমার।