একুশের রণকৌশল ঠিক করতে দলের বঙ্গ ব্রিগেডকে দিল্লিতে বৈঠকে ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। মঙ্গলবার এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী(Shubhendu Adhikari)৷ এই প্রথম অমিত শাহর বাড়িতে ডাক পেলেন শুভেন্দু৷
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। তবে বৈঠক হবে মঙ্গলবার। ওই বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ছাড়াও থাকার কথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের।
শনি ও রবিবারের বঙ্গ সফরে পশ্চিমবঙ্গের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল অমিতের। কিন্তু সেই সফর বাতিল হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বাতিল হয়ে যাওয়া সফরের পরিবর্তে অমিত কবে রাজ্যে আসবেন, কোথায় সভা বা রোড-শো করা যেতে পারে, সে সব বিষয়েও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, সংসদে বাজেট অধিবেশন চালু থাকলেও অমিত একদিনের জন্য রাজ্যে আসতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। সে দিন ঠাকুরনগরে সভা করবেন বলে শনিবার নিজেই ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আশ্বাসমতো শনিবারের সমাবেশের জন্য ঠাকুরনগরে তৈরি হওয়া মঞ্চও খোলা হচ্ছে না। অতএব অমিত শাহ যে খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় আসছেন সেটা স্পষ্ট।
ওই বৈঠকে, নতুন যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের কাজে লাগানো থেকে বিশেষ কিছু আসনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি দলের সংগঠন ও সাধারণ মানুষের ফিডব্যাক নিয়ে জে পি নাড্ডার কাছে বিস্তারিত রিপোর্টল জমা দিয়েছেন সাত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। কলকাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। হাওড়া, হুগলির রিপোর্ট দিয়েছেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। পূর্ব মেদনীপুর ও ঝাড়গ্রামের রিপোর্ট অর্জুন মুণ্ডার। হলদিয়ার রিপোর্ট পেশ করেছেন মনসুখ মাণ্ডব্য। মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার রিপোর্ট জমা দেন সঞ্জীব বালান। উত্তরবঙ্গের রিপোর্ট প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং বর্ধমান ও আসানসোলের রিপোর্ট বিজেপি সভাপতির কাছে জমা দেন নরোত্তম মিশ্র। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যব্যাপী গেরুয়া শিবিরের সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে এবং সেই কারণেই শুভেন্দুকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহর থেকে গেরুয়া ঝাণ্ডা নিয়েছিলেন শুভেন্দু৷ তারপর ১৬ জানুয়ারি দিল্লির কৃষ্ণমেনন মার্গে অমিত শাহ বাড়িতে রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। দিলীপ, মুকুল, অমিতাভ, কৈলাশ, শিব প্রকাশরা সেই বৈঠকে থাকলেও ডাক পাননি শুভেন্দু৷ এবার তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাকলেন অমিত শাহ৷