তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বিজেপির আক্রমণ নিয়ে এখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর–পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা। গতকাল থেকে উত্তপ্ত আগরতলা। সেখানে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মাথা ফাটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ রাহার। আক্রান্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য–জয়া দত্তও। আর রবিবার মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তাঁদের। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা আজ যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন। তবে এই পুরো ঘটনাকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলেই উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী তিনি ‘নাটক’ বলেও কটাক্ষ করেন।
এদিকে ত্রিপুরার আমবাসাতে আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্ণায় বসেছিলেন দেবাংশু, জয়া–সহ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তাই আজ সকালে কলকাতা থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগে অসমে গিয়ে অনেক নাটক করেছেন ওনারা। একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারেনি। এরকম মারামারি করে মনে হয় না তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে সংগঠন করতে পারবে।’
অন্যদিকে সেখানে ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। অভিষেকের উপরও আক্রমণ নেমে আসে। আইপ্যাকের টিমকে হোটেল–বন্দি করে রাখা হয়। তারপর শনিবার যুব নেতাদের উপর আক্রমণ নেমে আসে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দিদি নাটক করেন, ভাইরা আরও বেশি নাটক করেন।’ সব অভিযোগই ‘সাজানো ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য–সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা সারারাত অবরুদ্ধ ছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’