আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। আর তাঁকেই আজ নিয়ে আসা হল রাজনীতির আঙিনায়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বর্ণপরিচয় বিতর্ক। বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। আর তাঁকেই পালটা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়ার কথাও বলেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা মেদিনীপুরের লোক।’ রবিবার ইকো পার্কে গিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়র দিকে।
একসময় একই দলে থাকলেও তাঁদের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা বর্ণপরিচয় পড়েননি, তাঁরা পড়ুন। আমরা মেদিনীপুরের লোক। বিদ্যাসাগরও মেদিনীপুরের। বিদ্যাসাগর থেকে বর্ণপরিচয় আমরা কেন সারা দেশ পড়েছে। যাঁরা রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়লেন না, তাঁদের থেকে কী শুনব?’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কেন হঠাৎ এই কথা বললেন দিলীপ? সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে করা হয়েছে সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি হিসেবে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সাফল্য কামনা করি।’ পাল্টা বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি… মানে কি? আবার ভুল বাংলা! এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা ওঁর লাগবে।’
এই পরস্পরের টুইটে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। তাতে মুখ পুড়েছে দিলীপ ঘোষের। এখন বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে। তাই রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়েননি বাবুল বোঝাতেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।