কয়েকদিন আগেই পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে রাজু বিস্তের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমরণ অনশন শুরু করেন অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের ভারতী তামাং গোষ্ঠীর সভাপতি এসপি শর্মা। পরে রাজু বিস্তের থেকে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার অশ্বাস পেয়ে ষষ্ঠ দিনে অনশন তুলে নেন তিনি। আর কার একদিন পরই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে দেখা করলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিং ও কার্সিয়াঙের বিজেপি বিধায়করা। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন গোর্খা নেতাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের খবর প্রকাশ হতেই, এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সূত্রের খবর, পাহাড়ের চা শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
জানা গিয়েছে নতুন শ্রম নীতির সংশোধনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। পাশাপাশি চা শ্রমিকদের পাট্টার অধিকারের দিকটিও কেন্দ্রকে দেখার অনুরোধ করা হয় বৈঠকে। উল্লেখ্য, চা শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরির আওতায় পড়েন না। তাই শ্রম নীতি সংশোধনে দেরি হওয়ায় শ্রমিকদের লোকশান হচ্ছেন। তাই দ্রুত নতুন শ্রম আইন সংশোধনের আবেদন জানানো হয় বৈঠকে।
এদিকে চা শ্রমিকদের যাতে পাট্টা দেওয়ার মাধ্যমে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়টির দিকে নজর দিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা। এদিকে পিএম কিসান সম্মান নিধি এবং পিএম আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের আওতায় পড়েন না চা শ্রমিকরা। এই প্রকল্পে যাত্ শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তার আবেদনও জানানো হয় বৈঠকে। এদিকে কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে সাংসদকে জানিয়েছেন ভূপেন্দ্র যাদব। এদিকে নতুন শ্রম আইনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ চলছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক যে বৈঠকের কথা শোনা যাচ্ছে, সেই বিষয়ে এই বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।