রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর এবার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টেও ফ্রিজ করা হল। মোট ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয় আপ্ত সহায়ক অমিত দেকেও।
ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়, তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। সেই কারণেই ওইসব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ইডির নজরে বর্তমানে যেসব বিষয় রয়েছে তা হল একাধিক বেনামি অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে বহু জায়গায় বিপুল টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। অন্য অনেকের অ্যাকাউন্ট বা ব্যবসা ব্যবহার করে টাকা সরানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ বিভিন্ন লোক, সেল কেম্পানিকে টাকা সরাতে ব্যবহার করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মানুষজনকে জেরা করছে ইডি।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে দুই এজেন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদের হোয়াটসঅ্যাপে নজর এবার ইডির। একজনের চ্যাটের মধ্যমে জানা গিয়েছে তিনি মন্ত্রীকে ৬৮ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজন ১২ লাখি ভেট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সুপারিশে একজনের কৃষি দফতরে চাকরি পেয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডোমেস্টিক হেল্প ওই ব্যক্তি কৃষি দফতরে গ্রুপ ডিতে চাকরি পেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির আরও একটি পরিচয় রয়েছে। জানা যাচ্ছে তদন্তে এখনওপর্যন্ত যে ৩টি সংস্থার কথা উঠে এসেছে সেইসব সংস্থার ডাইরেক্টর ছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই তিন কোম্পানির মাধ্যমে টাকা সাইফন করেছেন বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, ওইসব কোম্পানি নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় ও তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে ওইসব কোম্পানিগুলির কোনও কর্তার পদে তাঁরা রয়েছেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। তারা এনিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির মোবাইল ফোনেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেখানে থেকে কিছু কথোপোকথন উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে জ্যোতিপ্রি মল্লিককে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা জানা যাচ্ছে। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে হেফাজতে পেলে তাকে জেরা করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।