গোরু পাচার মামলায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল ইডি। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে এবার তার চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টকে গ্রেফতার করল ইডি। দিল্লিতে তাঁকে সকালে এগারোটায় দফতরে ডেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। গোরু পাচার কাণ্ডে মণীশ কোঠারি একটি প্রাইজ ক্য়াচ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।
গোরুপাচার কাণ্ডে যে বিষয়টি ইডির কাছে স্পষ্ট ছিল তা হল টাকা কীভাবে আসতো। কিন্তু যে বিষয়টিতে ধোঁয়াশা ছিল তা হল অনুব্রত মণ্ডলের কাছে সেই টাকা জমা পড়ার পর সেই টাকা কোথায় গিয়েছে। কোথায় টাকা পার্ক করা হয়েছে, কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হল, বীরভূম শুধু নয়, বীরভূমের বাইরে বিপুল জমি কেনা হয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব তথ্য জানতে চাইছে ইডি। গোরুপাচারের টাকা বিনিয়োগের হাল হকিকত সব জানতেন মণীশ কোঠারি।এমনটাই মনে করছে ইডি।
সুকন্যা মণ্ডল নামে রাইস মিল, অ্যাগ্রো কোম্পানি, কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে, প্রচুর জমিজমা রয়েছে। সেই টাকা কোথায় কীভাবে মণীশ কোঠারি বিনিয়োগ করিয়েছিলেন তারই সন্ধানে ছিল ইডি। মাণীশের ৪টি সেল কোম্পানি রয়েছে। সেই সেল কোম্পানির হদিস পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে ইডি। অনুমান করা হয়েছিল ওইসব সেল কোম্পানিরতে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বা টাকা পার্ক করা হয়েছিল। ওইসব প্রশ্নেই আজ জেরায় বারবার আটকে যান মণীশ কোঠারি। সন্ধে সাতটা নাগাদ মণীশ কোঠারিকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসানো হয়। তখন বহু প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। তখনই মণীশকে গ্রেফতারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মণীশ কোঠারির গ্রেফতার কতটা গুরুত্বপূর্ণ? সুকন্যা মণ্ডলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। একজন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে বিপুল সম্পত্তির মালিক। জমি, বাড়ি, রাইস মিল, ফিক্সড ডিপোজিট। ওই টাকা কীভাবে এল? জেরায় দুটি উত্তর গিয়েছিলেন সুকন্যা। একটি হল, কোথায় টাকা রাখা হয়েছে, কোথায় সম্পত্তি কেনা হয়েছে তা তিনি জানেন না। সব জানেন বাবা। দ্বিতীয়ত, সব লেনদেন, হিসেব রাখার কাজ করেন মণীশ কোঠারি। আগামিকাল একসঙ্গে সুকন্যা, মণীশ ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসানো হতে পারে।