করোনায় আক্রান্ত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। গায়ে জ্বর থাকায় সম্প্রতি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। সোমবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পরেই বিকেল ৫টা নাগাদ দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ৮৮ বছরের মনমোহনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। তাই বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে।
গত ৪ মার্চ দিল্লির এমস-এ গিয়েই সস্ত্রীক প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নেন মনমোহন। তার একমাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার পর গত ২২ মার্চ দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান ৪ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ৮ সপ্তাহ করে দেয় সরকার। মনমোহন এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন কি না, জানা যায়নি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে নেটমাধ্যমে মনমোহনের আরোগ্য কামনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এই মাত্র খবর পেলাম যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহজি কোভিড পজিটিভ। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও মনমোহনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় মনমোহনজি, আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে আপনার পথপ্রদর্শন এবং পরামর্শ প্রয়োজন দেশের’।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী টুইটারে লেখেন, ‘মনমোহন সিংহজি এবং ওঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। ওঁকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে জিতুন উনি’।
কংগ্রেসের আর এক সাংসদ শশী তারুর টুইটারে লেখেন, ‘অত্যন্ত ব্যথিত। মনমোহন সিংহজির দ্রুত এবং সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি। এই দুঃসময়েও দেশের বিবেক-রক্ষক হয়ে উঠেছেন উনি। ওঁর সুস্থ থাকা আমাদের জন্য খুব জরুরি’।
এই মুহূর্তে সে ভাবে জনসমক্ষে ধরা দেন না মনমোহন। শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে সনিয়া গাঁধী, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। তার পরই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন। তাতে কী ভাবে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া যায়, প্রতিষেধকের জোগান কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে পাঁচটি পরামর্শ দেন তিনি।
তবে ওই চিঠি নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সোমবার কড়া ভাষায় মনমোহনের ওই চিঠির প্রত্যুত্তর দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কেন্দ্রকে পরামর্শ না দিয়ে নিজের দলকে পরামর্শ দিলে পারেন বলে তাঁকে কটাক্ষ করেন হর্ষ বর্ধন।