মালদহ (Malda) জেলা পরিষদও হাতছাড়া হল তৃণমূলের (TMC)। এই জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য সোমবার বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের ১৩ জন এবং একজন কংগ্রেসের।
মালদহ জেলা পরিষদের মোট আসন ৩৮। এক প্রার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে গাজোলের পাণ্ডুয়ার একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত ছিল। বর্তমানে মোট সদস্য ৩৭। এতে সমীকরণ ছিল, বিজেপি ৬, কংগ্রেস ২ এবং তৃণমূল ২৯। এদিন সভাধিপতি-সহ ১৪ জন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেই সমীকরণ কার্যত উলটে গিয়েছে। এক বিজেপি সদস্য উজ্জ্বল চৌধুরী দু’দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে ওল্ড মালদহ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন তিনি। বিজেপিতে সভাধিপতি গৌরবাবুর যোগদানের পর এদিন মালদহ জেলা পরিষদের আসন বিন্যাস দাঁড়াল এই রকম, বিজেপি ১৯, তৃণমূল ১৭ এবং কংগ্রেস ১। ফলে মালদহ জেলা পরিষদে এই মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। রবিবার সন্ধ্যায় মালদহে দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ অম্লান ভাদুড়িও এদিন কলকাতায় বিজেপিতে যোগ দেন।
মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল খাতুনের স্বামী তথা রতুয়ার দাপুটে নেতা শেখ ইয়াসিন সপ্তাহ দু’য়েক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন ইয়াসিনের নেতৃত্বেই ওই সদস্যরা কলকাতায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কলকাতা থেকে জানিয়েছেন, তিনি-সহ ১৪ জন সদস্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের ১৩ জন। এবং একজন কংগ্রেসের। তাঁরা হলেন, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, পায়েল খাতুন, সরলা মুর্মু, পিঙ্কি মাহাতো, চম্পা মণ্ডল, ডলিরানি মণ্ডল, শ্যামকুমার মণ্ডল, সন্তোষ চৌধুরী, রুপা দাস মণ্ডল, শেফালি মণ্ডল, উম্মে হানি, দীনেশ টুডু ও অর্চনা মণ্ডল। কংগ্রেস থেকে বন্দনা ঘোষ মণ্ডল।
বিজেপি সূত্রের খবর, মালদহ জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাওয়ার ফলে তার দখল নিতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা রতুয়ার সৌমিত্র রায়ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠক ডাকেন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিনও মৌসমের অফিসের সামনে কিছু দলীয় কর্মী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।