সোমবার সাতসকালে খড়্গপুরে এক চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের প্রিন্সিপালের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ, রাজ্যে ডেঙ্গির প্রভাব বৃদ্ধি সহ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেন।
মমতার পায়ের চোট: পায়ে চোট, না মনে চোট? এত টাকা খরচ করে বিদেশ সফর সারলেন কিছু তো পেলেন না। তবে সত্যি সত্যিই যদি পায়ে চোট লেগে থাকে তাহলে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করবো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। উনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠে কাজে লাগুন। তবে পশ্চিমবাংলার মানুষ কি পেল এটা দেখতে হবে।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের প্রিন্সিপালের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ: সমস্ত কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বহিরাগত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভর্তিতে টাকা নিচ্ছে কাটমানি তুলছে। সরকারি ফান্ডের টাকা লুটপাট করছে। সিপিএমের আমলেও হত টিএমসির আমলে ব্যাপক হচ্ছে। কারণ কোনো কন্ট্রোল নেই, কোনো প্রশাসন নেই। যারা প্রিন্সিপাল, যারা ভিসি তাদের কিছু করার নেই। তারা ঠুটো জগন্নাথ হয়ে গেছেন। অনেকে ছেড়ে দিতে চাইছেন। ফলে পশ্চিমবাংলার পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটা ভেঙ্গে পড়ছে।
দত্তপুকুরে পঞ্চায়েত সদস্যের মা খুন: খুন খারাপি এটা পশ্চিমবাংলায় নতুন কিছু না, বিরোধীদের মারা হতো এখন বিরোধীরা চুপ হয়ে গেছে। পার্টির মধ্যেই পঞ্চায়েতের টাকা লুটপাট, স্থানীয় টাকা কে তুলবে? কে নেবে সমস্ত রকমের কয়লা, গরু, বালি টাকা নেবে কে, সেই নিয়ে মারামারি হচ্ছে।
প্রলয় পালের একদিনই ডিগবাজি: বিজেপিতে থাকবেন না উনি বলেননি কখনো। বিজেপিতেই আছেন নিশ্চয়ই কোনো একটা অ্যাডজাস্টমেন্টের অসুবিধা হয়েছিল সেটা কথা বলেই ঠিক হয়ে যাবে।
ধুপগুড়ি তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে নাটক:
জানিনা কেন এরকম হচ্ছে গভর্নর ডেকেছেন যাওয়া উচিত পার্টির ও দায়িত্ব নেওয়া উচিত, বোধহয় টিএমসিতেই এসব সম্ভব।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিরক্ত: সব জায়গাতেই বিভিন্ন কলেজে ইউনিভার্সিটিতে এরকম, ছাত্রদের মন মানি যা ইচ্ছা করছে। সেখানে টাকা তোলা হচ্ছে, কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সব জায়গায় গন্ডগোল হচ্ছে। সেজন্য তারাও চাইছেন না আর কাজ করতে। কাজ করার পরিবেশও নেই। ধমক চমক দেওয়া হচ্ছে উপাচার্য হোক আর প্রিন্সিপাল হোক। কাজ করার মত পরিবেশ কোথাও নেই। শিক্ষামন্ত্রী এসব না দেখে তিনি রাজ্যপালের পিছনে লাগছেন।
রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির প্রভাব বাড়ছে: সারা বছরই ডেঙ্গু থাকে তথ্য সামনে আসে না। যখনই খবর করা হয় তখনই তথ্য সামনে আসে আর এই সরকার তথ্য চেপে দিতে চায়। রাজ্য সরকারের চেষ্টা করা উচিত ডেঙ্গু কেন ছড়াচ্ছে সেটা বিচার করে দেখা। আসল কারণ খোঁজা হচ্ছে না। দশ বছর ধরে এটা চলছে মন্ত্রী স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, সরকার ইগনোর করছে আর সাধারণ মানুষ ভয়ে মরছে।