ফের স্বমহিমায় শুভেন্দু অধিকারী। রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরেই হুংকার পুরোন দল তৃণমূলকে। ‘বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই’, মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে বিজেপির জনসভায় আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু। ‘জননেতা’র ভাষণে করতালিতে ফেটে পড়ল গোটা সভাস্থল।
ফের চেনা মেজাজে শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিজেপির হয়ে সওয়াল ‘জননেতা’র। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে পূর্বস্থলীর সভায় যোগ দেন শুভেন্দু। বক্তৃতার শুরু থেকেই এদিন শুভেন্দু ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। আক্রমণাচ্মক মেজাজে তুলোধনা করলেন তৃণমূলকে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে হঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,‘‘বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।’’
তৃণমূলের গড়ে ওঠার পিছনে বিজেপিরই সাহায্য রয়েছে বলে মনে করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত তৃণমূল। ১৯৯৮ সালেই উঠে যেত তৃণমূল। কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল তৃণমূলকে। কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে তৃণমূল।’’
এদিনের সভায় ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। অভিষেককে ‘তোলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,, ‘‘তোলাবাজ ভাইপোকে হঠাতে হবে।’’
একইসঙ্গে এরাজ্যে গরু ও কয়লা পাচার নিয়েও প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। বাংলায় গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এদিন সেপ্রসঙ্গের উল্লেখ করে শাসকদল তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘অমিত শাহ ব্যবস্থা নেওয়ায় বন্ধ গরু পাচার। বন্ধ কয়লা পাচার।’’
গত শনিবারই তৃণমূলের একদা অন্যতম শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের হাফ-ডজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দুকে যেমন শাহ নিজের ছোট ভাইয়ের জায়গা দিয়েছেন, তেমনি শুভেন্দুও দল বদলের সভায় অমিত শাহকে বড় দাদার আসনে বসিয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের আগে এরাজ্যে দলের শক্তি-বৃদ্ধিতে বেশ খুশি মোদী-শাহরা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই রাজ্যে এবার আরও একবার পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘সব পদ ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। দিলীপের নেতৃত্বে জোট বাঁধুন।’’