গোড়া থেকেই কড়া মনোভাব নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার অতি সক্রিয়তা কমিশনের। প্রথম দফার ১০,২৮৮টি বুথকে স্পর্শকাতর’ বলে জানিয়ে দিল কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুধু ‘স্পর্শকাতর’ নয়, প্রত্যেকটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বুথে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবেন না আটজন করে তা শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। অন্যদিকে, শনিবারের পর সোমবারও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সিইও বৈঠক করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আসছে ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে ২৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গিয়েছে। বাকি ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে কমিশনের তরফ সমস্যা হবে না বলেই মত আধিকারিকদের একাংশের। তবে একইসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যেকটি বুথে মোতায়েন হবে, নাকি বুথ ভিত্তিতে তা আলাদা হবে, সেই বিষয় নিয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মোট আটটি দফায় যে ভোট হবে সেখানে এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায়ের আগেই আপাতত ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে রাজ্যে। পর্যায়ে পর্যায়ে রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এ দিকে, চলতি সপ্তাহে যে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছবে, তাঁদের কীভাবে মোতায়েন করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২৭ মার্চ রাজ্যের মোট পাঁচটি জেলাতে প্রথম যখন নির্বাচন রয়েছে সেই জেলাগুলিতে এই ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামে ৭০ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৫ কোম্পানি, পুরুলিয়া ৩৬ কোম্পানি, বাঁকুড়াতে ২৯ কোম্পানি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।