মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ক্যাবিনেট সদস্যদের উপদেশ দিয়েছিলেন যাতে তাঁরা তাঁদের পূর্বসূরী থেকে পরামর্শ নিয়ে নতুন মন্ত্রকের কাজ শুরু করেন। সেই মতো পূর্বসূরীর অভিজ্ঞতা জেনেই নতুন মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেন অধিকাংশ মন্ত্রী। এদিন আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু দেখা করেন প্রাক্তন আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে। এই নিয়ে পরবর্তী টুইট করেন রিজিজু। এদিক প্রাক্তন অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
একই ভাবে সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিও দেখা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গে। এদিকে যে মন্ত্রীরা কাজের চাপের কারণে পূর্বসূরীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, তাঁরা পরের সপ্তাহে সময় বের করে সাক্ষাত করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের নয়া মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছে ৩৬টি নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, ৮ জন আইনজীবী, ৪ জন ডাক্তার, ৪ জন এমবিএ ও বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মন্ত্রিসভা গঠনে তারুণ্যের পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতার কথাও মাথায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই হেভিওয়েট মন্ত্রীদের ছেঁটে ফেলে নতুন মুখদের দেওয়া হয়েছে গুরুদায়িত্ব। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আর কোনও ফাঁক ফোঁকর রাখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। উচ্চশিক্ষিত মানুষদের এনে মন্ত্রিসভা আলোকিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী দিনে এঁদের কাণ্ডারী করেই পরিকল্পিত উন্নয়নের বার্তা দিতে চেয়েছেন মোদী।