রাতের অন্ধকারে বিজেপির ফ্ল্যাগ, ফেষ্টুন ছিঁড়ল দুষ্কৃতীরা, শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির

হেমতাবাদ বিজেপির ফ্ল্যাগ, ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলা এবং দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে বুধবার পরিবর্তন যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নেন  বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরিবর্তন যাত্রাকে সফল করতে হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় পতাকা, ফেষ্টুন এবং দেওয়াল লিখন করে বিজেপি কর্মীরা সাজিয়ে তুলেছিলেন। অভিযোগ, পরিবর্তন যাত্রার আগে এবং পরে গত দু-দিন ধরে বিজেপির ফ্ল্যাগ, ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি, দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি কর্মীদের কথায়, তৃণমূল খেলা হবে স্লোগান দিচ্ছে। কিন্তু তাঁরাই রাতের অন্ধকারে পতাকা ছেঁড়া, দেওয়াল মুছে দিচ্ছেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, যাঁরা খেলতে চান, তাঁরা রাতের অন্ধকারে সেই খেলা না খেলে দিনের বেলায় খেলুন।

স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দাবি, বুধবার পরিবর্তন যাত্রার পর শাসক দলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার মত বিজেপির ক্ষমতা আছে। এ দিন এলাকায় পতাকা ফেস্টুন ছেঁড়া, দেওয়াল মোছার অভিযোগে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি প্রশান্ত কুমার ভৌমিক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় দত্ত। তাঁর দাবি, “তৃণমূল শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। বিজেপি গোষ্টী দ্বন্দের জেরে এই ঘটনা ঘটছে। সেই দলের কেউ এই কাজ করতে যাবে না। আসলে বিজেপি ভোটের আগে এই এলাকাকে অশান্ত করতে চাইছে। হেমতাবাদের মানুষ বিজেপি এই চক্রান্তকে মেনে নেবেন না।”

উল্লেখ্য, গতকাল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী-সহ একাধিক রাজ্য নেতা। রায়গঞ্জ শেষ করে পরিবর্তন যাত্রা পৌঁছয় হেমতাবাদে। পরিবর্তন যাত্রাকে ঘিরে মানুষের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার। হেমতাবাদ শেষ করে পরিবর্তন যাত্রা শেষ হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রের দূর্গাপুরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.