বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে জেলা সফরে আসায় উজ্জীবিত বিজেপির কর্মীরা। বাঁকুড়া সফরে এসে সন্ত্রাস মোকাবিলায় তার ভূমিকা দেখে যেন অক্সিজেন পেলেন ভীত সন্ত্রস্ত কর্মীরা।
গতকাল খাতড়া, গোড়াবাড়ি গঙ্গাজলঘাঁটিতে শুভেন্দুর নির্বাচনী সভা ছিল। গঙ্গাজলঘাঁটিতে সেই সভায় যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাঁকশোল গ্ৰামের কয়েকজন বিজেপি কর্মী। সেই সময় তাদের সভায় যোগ দিতে নিষেধ করে শাসক দলের কয়েকজন বলে অভিযোগ।নিষেধ উপেক্ষা করে সভায় যাওয়ার সময় তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন আহতও হন। আহত অবস্থাতেই তারা শুভেন্দুর সভায় হাজির হয়ে সমস্ত ঘটনা জানান। ঘটনা শুনে শুভেন্দু স্থানীয় থানায় আহতদের নিয়ে হাজির হন, এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। শুভেন্দুর এই ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত কর্মীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই সারা বাংলার মতোই বাঁকুড়া জেলাজুড়ে থমথমে পরিবেশ। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় সেই পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত থেকে সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। মনোনয়নে বাধা, প্রার্থীদের ও কর্মী সমর্থকদের মারধর, হুমকি শুরু হয়। এই পরিস্হিতিতে বিজেপি কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিলেও শাসানির অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায়।ভরসা না পেয়ে অনেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেন। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী জেলার খাতড়া, গোড়াবাড়ি, গঙ্গাজলঘাঁটিতে নির্বাচনী সভা করেন। প্রতিটি সভাতেই জনসমাগম যে কোনও দলের কাছে ঈর্ষণীয়।
এই জনসমাগম দেখে উজ্জীবিত কর্মী থেকে প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে শাসক দলের সন্ত্রাস মোকিবিলায় তার পদক্ষেপ কর্মীদের মনোবল তুঙ্গে উঠেছে।
এবিষয়ে বিজেপি কর্মীরা একান্তে জানান, গ্ৰামবাংলাজুড়ে যে ভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে যে আমরা বিচলিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাধারণ কর্মীরাও ভয়ে কেউ কেউ পারিবারিক কথা মাথায় রেখে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। শুভেন্দুদা আসায় সবার যেন মনোবল তুঙ্গে। যদিও বিজেপির
দায়িত্বশীল কর্মীরা বলছেন, আমরা বরাবরই মরিয়া লড়াইয়ে তৈরী। প্রচারও চলছে জোর কদমে। রাজ্য নেতারা প্রচারে এলে তার একটা ভালো প্রভাব পড়ে।এখন ভোটের দিন সন্ত্রাস না হলে বিজেপির ভালো ফল হবে এটা নিশ্চিত।