রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরে নির্বাচনী প্রচারে এসে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বাংলার জনতা পরিবর্তন চাইছেন। বাংলার মানুষ সহমত পোষণ করছেন যে কংগ্রেস, সিপিএমের সময় তাঁরা দেখেছেন, তৃণমূলের সময়ও দেখেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা যে আশা অপেক্ষা করেছিলেন তা পূরণ হয়নি। তাই এর জন্য বাংলার মানুষ নির্ধারণ করেছেন এই নির্বাচনে পরিবর্তন হবে। বাংলায় বিজেপির জয় হবেই এবং বিজেপি সরকার গড়বেই এটা নিশ্চিত।”
সোমবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপ দাসের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি ও বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আগামী নির্বাচনে নিজেদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকড়ি আরও বলেন, “আমি হলদিয়াতে বারবার এসেছি। যে তাজপুরের কথা হচ্ছে তাজপুর বন্দর চালু হয়ে গেলে বাংলার লক্ষ লক্ষ যুবকের হাতে কাজ থাকবে। কিন্তু বাংলার সরকার সুযোগ দিচ্ছে না। আমি পরিবহন দফতরের মন্ত্রী। নন্দীগ্রামে একটি বড় অটোমোবাইল শিল্প গড়ার কথা চলছিল। পরে সরকার তা তাড়িয়ে দিয়েছে।”
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, “আপনাদের রানিচকে চারলেনের ফ্লাইওভার তৈরি হয়ে যাওয়ায় রেলের সামনে পাদ দাঁড়াতে হয় না। আমি আপনাদের বিশ্বাস দিচ্ছি বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আমাদের দিলেই আমরা আরও সড়ক তৈরি করবো।”
একই মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “লোক দেখিয়ে যদি ভোট হতো তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগেই জিততে পারতো যখন আমরা তৃনমূল কংগ্রেসের ছিলাম। মানুষ পরিবর্তন চেয়েছে। ধোমকে- চমকে একটা সন্ত্রাস তৈরি করে মানুষ যাতে ভোট না দিতে পারে তার জন্য যে খেলা হবে স্লোগান তার মানেটা কি? রাজনীতি তো খেলার ময়দান নয়। তার মানে তাদের জনসমর্থন নেই ভয় দেখিয়ে ধমকে চমকে মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। দেওয়াল লিখনের স্পষ্ট একুশে তৃণমূল যাচ্ছে বিজেপি আসছে।”
২৪তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সভায় শিশির অধিকারীর যোগদান নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিশিরবাবু একটাই কথা বলছেন শুভেন্দু চাইলে তিনি যেতে পারেন। সেটা শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তাঁরা কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ব্যাপারে এখন আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “যে কোনও দুর্ঘটনাই দুঃখজনক। উনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন এটা আমরা চাই। কিন্তু চক্রান্তের গন্ধ বলছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চিপ সেক্রেটারি আর পুলিশের রিপোর্ট যেটা নির্বাচন কমিশনে গেছে আর নির্বাচন কমিশন বলছেন এটা কোন চক্রান্ত না এটা দুর্ঘটনা। তাই দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনার মতোই দেখতে হবে। সেটাকে যারা চক্রান্ত বলছেন তার মানে হল জনসমর্থন নেই, পায়ের তলার মাটি আলগা, পরাজয় নিশ্চিত তাই একটা অন্যরকমভাবে মানুষের মনে দাগ ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ অত্যন্ত সচেতন এবং বুদ্ধিজীবী মানুষ। আগামী দিনের সেই ভাবেই ভোটের ফলাফল হবে।”