‘দিদিমনি ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছেন’, তৃণমূল সুপ্রিমোকে নজিরবিহীন আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

দলীয় কর্মী সমর্থক খুনের ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র বলে সম্বোধন করলেন বিজেপি সাংসদ। গয়েশপুরে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে গত সোমবার বালুরঘাট থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি।

বালুরঘাট কেন্দ্রের লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে বালুরঘাট থানার সামনে পৌঁছে এই বিক্ষোভ দেখান। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের মমতা বন্দোপাধ্যায়কে শুধু ধৃতরাষ্ট্র বলে সম্বোধনই নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি।

বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করে বলেন, “চোখ থাকতেও দিদিমনি ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছেন। মহাভারতের অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো ভাইপোকে প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণকে ভুলে গিয়েছেন তিনি।”

একই সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকারও সমালোচনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, “তৃণমূলের কোনও নেতা বা দলের দলদাস হয়ে কাজ করবেন না। আর যদি তা করতে অপারগ হন তাহলে অশোকস্তম্ভ খুলে সেখানে হাওয়াই চটির সিম্বল মাথায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পরামর্শ পুলিশকে দিয়েছেন।”

শুধু তাতেই ক্ষান্ত হননি বিজেপি সাংসদ। বালুরঘাটে থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। থানার সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশকে বৃহন্নলা বলেও অবিহিত করেন। তিনি বলেন, “চারিদিকে বিজেপির একের পর কর্মী ও জনপ্রতিনিধি খুন হচ্ছেন। খুন করছে তৃণমূলের লোকেরাই। অথচ পুলিশ খুনিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বৃহন্নলার ভূমিকা পালন করছে।”

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের পাশাপাশি থানা ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয় হিলিতেও। বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে হিলি থানার সামনে কয়েকশো কর্মী সমর্থক গয়েশ পুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এদিকে বালুরঘাটের কর্মসূচিতে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার ও অন্যান্য নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.