ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকে সোমবার সকাল থেকেই সর্বাত্মক বনধ চলছে ব্যারাকপুরে। রবিবার অনেক রাতে টুইট করে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান লেখেন, “আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে সোমবার সকালে তাঁদের রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছি।” এদিন সকালে তিনি জানান, জরুরী ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
মণীশ শুক্লা খুনের প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুর বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। এদিন সকাল থেকেই দেখা গেল স্তব্ধ ব্যারাকপুর। বন্ধ দোকানপাঠ। রাস্তায় লোকজন নেই। তবে সকাল থেকেই রাস্তায় নামলেন বিজেপি কর্মীরা। একাধিক জায়গায় অবরোধ করলেন তাঁরা। খুনিদের কড়া শাস্তির দাবি তুলে চলে স্লোগান। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য তৎপর প্রশাসনও। সোমবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর, টিটাগড়- সহ পুরো এলাকার ছবিটা প্রায় একই রকম।
রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে হাওড়ায় গিয়েছিলেন পেশায় আইনজীবী ও বিজেপি–র ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য মণীশ শুক্লা। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যায় টিটাগড় থানার পাশে বিটি রোডের উপর দলীয় কার্যালয়ে ঢুকছিলেন তিনি। এমন সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তাঁর শরীরে একাধিক বুলেটের আঘাত লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতা ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে।
সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মণীশ শুক্লাকে (Manish Shukla) গুলি করেছে। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তাঁকে উদ্দেশ্য করে মোট ১২টি গুলি চালানো হয়। তারমধ্যে মোট চারটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে।