উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে বিজেপি নেতার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। গভীর রাতে উত্তর কলকাতা শহরতলির বিজেপি সহ সভাপতি রাজীব মিশ্রর বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
যদিও এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। বিজেপি নেতা রাজীব তার বাড়িতে থাকলেও তিনি বাড়ির বাইরে না বেরোনোয় প্রাণে রক্ষা পান। এই ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কেদারনাথ ভট্টাচার্য লেনে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন মানুষজন। যদিও ঘটনার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘিরে রেখেছে এলাকা।
জানা যায়, বুধবার রাতে বিজেপি নেতা রাজীব মিশ্রকে মুখ ঢাকা ৩ যুবক এসে ডাকাডাকি করে। সেই সময় তিনি বাড়ির দোতলা থেকে তাদের বলেন, ফোনে কথা বলতে। তিনি বেশি রাতে কারুর সঙ্গে দেখা করবেন না। ওই যুবকদের মধ্যে একজন রাজীবকে ফোনও করেছিল রাতেই। তবে রাজীব কোন ভাবেই বাড়ির বাইরে বেরোন নি।
এরপরই ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে আসে তার অন্য এক বন্ধু তথা স্থানীয় অপর বিজেপি নেতা অতনু মুখোপাধ্যায়। তিনি রাজীবের মাকে ডেকে জানালা দিয়ে তার হাতে পুরীর জগন্নাথ দেবের প্রসাদ দিতে এসেছিলেন। তখন ৩ যুবক যারা রাজীব মিশ্রকে ডাকতে এসেছিল, তারা স্বমূর্তি ধারন করে রাজীব মিশ্রর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ২/৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রাজীবের বাড়ির বাইরে দাঁড়ানো অতনু মুখোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বরানগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কেদারনাথ ভট্টাচার্য লেনে।
রাজীব মিশ্রর অভিযোগ, “আমরা এখানে বিজেপি দলকে শক্তিশালী করছি, ওদের সহ্য হচ্ছে না। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বরানগর থানার পুলিশকে সব জানিয়েছি। যদিও পুলিশ এমন ভাব করছে যেন তেমন কিছুই ঘটেনি। এভাবে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না ।”
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া মেলে নি । স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কিছুই ঘটেনি কোথাও । বরানগর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরানগর এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ।