ব্রিগেডে মোদির (PM Modi) জনসভার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। ভাঙড়ে বিজেপি (BJP) কর্মী, সমর্থকদের বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সাকসা গ্রামে পালটা তৃণমূল সমর্থকদের উপরেও হামলা চলে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, ব্রিগেডের প্রচার করার সময় নদিয়ার হরিণঘাটায় বিজেপির বুথ সভাপতি গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। তাঁকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Election) আগে এই জনসভা রাজ্যের বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে নিঃসন্দেহে। এদিন সকালে ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সাকসা গ্রামের কাছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের একটি বাস আটকে তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। হামলার পর কয়েকজনের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পালটা তৃণমূল কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর ঘটনায় বোমাবাজিও চলে এলাকায়। এ নিয়ে সকালের দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার রাতের দিকে মোদির ব্রিগেডের জন্য এলাকায় প্রচার করছিলেন নদিয়ার হরিণঘাটা ১০ নং ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি বুথ সভাপতির ডান পায়ে গুলি লাগে। জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ব্রিগেডে যাওয়ায় বাধা দিতেই সঞ্জয়কে গুলি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পালটা দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।