নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷
মঙ্গলবারের শহিদ মিনারের পাদদেশে ভারতের কীর্তন বাউল ভক্তিগীতি কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত এক সমাবেশে যোগদান করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ৭০ বছরের বেশি বয়সের শিল্পীরা পেনশন পাচ্ছেন। বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ষাটোর্ধ্ব শিল্পীরাও এই পেনশন পাবেন৷ প্রতিশ্রুতি দেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেবেন। কৈলাশ বলেন, “আগামী দিনে যদি বাংলার গ্রামে গ্রামে কীর্তন, ভজন করতে হয় তবে বাংলায় বিজেপি সরকারকে আনতে হবে। তাই গ্রামের ঘরে ঘরে কীর্তন করে বলুন, হরে কৃষ্ণ, হরে হরে, কমল ফুল বিজেপি ঘরে ঘরে।” এই নিয়েই ফিরহাদ কমিশনের দ্বারস্থ।
বুধবার দুপুরে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা৷ সেখানে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “টিভিতে দেখলাম একটা অনুষ্ঠানে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ভাতার কথা বলছেন। তিনি একটি দলের হয়ে কী ভাবে এই কথা বলতে পারেন? প্রশ্নগুলি আমরা নির্বাচন কমিশনে রেখেছি। আশা করি সুবিচার পাব।” এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এতে কোনও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়নি৷ আমাদের দলের ইস্তেহারে এটা রয়েছে৷ উনি সেটাই বলেছেন৷ এতে কোনও অন্যায় নেই৷”
ভোটের দিন ঘোষণার পরও করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে? সেই প্রশ্ন তুলেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বহু পেট্রোল পাম্পেও মোদীর ছবি রয়েছে। আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পরেও নানা কৌশলে সরকারি প্রকল্পের দোহাই দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এবিষয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান তাঁরা প্রসঙ্গে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ “পেট্রোল পাম্প কোনও সরকারি জায়গা নয়। সেটা নির্বাচনী বিধির আওতায় পড়ছে না। পেট্রোল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকতেই পারে।”