এক বছর আগেই দুশো আসন পার করার লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এর পরেও বাংলার ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকে সরছে না দল। হায়দরাবাদে হওয়া দু’দিনের জাতীয় কর্মসিমিতির বৈঠকে নেওয়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে এমনটাই বলা হয়েছে। প্রস্তাব পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করবে।’’ সেই সঙ্গে আরও তিন রাজ্য দখলের কথাও বলেন শাহ। তিনি জানিয়েছেন কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় ক্ষমতা দখলও বিজেপির লক্ষ্য। পশ্চিমবঙ্গে পরিবারতন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন শাহ। এর জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘২০২০ সাল, ২০২১ সালে বাংলার নিত্যযাত্রী হয়ে যাওয়ার সময়েও এ সব বলেছিলেন। আর পরিবারতন্ত্রের কথা বিজেপির মুখে মানায় না।’’
রাজনৈতিক প্রস্তাবে অমিত শাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। তাতে প্রথম আক্রমণ ছিল কংগ্রেসের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে সভাপতি নির্বাচনই করছে না।’’ এই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘‘তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের পারিবারিক শাসনকে হারাবে বিজেপি।’’ বিজেপির রাজনৈতিক প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকতাবাদ, পরিবারবাদ এবং তোষণবাদ চলছে। এই পরিস্থিতির বদল এনে বিজেপি চায় উন্নয়নের রাজনীতি, কাজ করার রাজনীতি। শাহর প্রস্তাব পেশের পরে তাঁর বক্তব্য সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বিজেপির মুখে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ নতুন নয়। তবে রবিবার অমিতের বক্তব্য শোনার পরে তৃণমূলের কুণাল বলেন, ‘‘পরিবারতন্ত্রের কথা বিজেপি কী করে বলছে? অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সাইনবোর্ড তো বিজেপির দেওয়ালে ঝুলছে। সিন্ধিয়ারা তো বটেই, রাজ্যে রাজ্য বিজেপি পরিবারতন্ত্র চালায়। আর বাংলায় তো মানুষের সরকার চলছে।’’