বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রের সমবায় নির্বাচন জয় পেল বিজেপি। দীর্ঘ দিন তৃণমূলের হাতে থাকা ভেকুটিয়া সমবায় সমিতি দখল করল গেরুয়া শিবির। রবিবার সকাল থেকেই এই নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী বিজেপি। অন্য দিকে, মাত্র একটি আসনে জিতে কোনও মতে মুখরক্ষা করেছে তৃণমূল। যদিও, ওই একটি আসনেও মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, বিরোধী দলনেতা বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস করেই জিতেছেন। বিজেপির পাল্টা দাবি, শাসক দলের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে জয় পেয়েছেন তাঁরা।
ভেকুটিয়ার সমবায়ের নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনার মধ্যে ফুটছিল গোটা এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে বহিরাগত তত্ত্ব তুলে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলমালের অভিযোগ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে মারমুখি দুই গোষ্ঠীকে কোনওক্রমে সামাল দেয় পুলিশ। বিজেপি শিবির দাবি করেছে, তাঁদের নেতা শুভেন্দু ভোটের দিন এলাকায় না থাকলেও, তাঁর নাম করে ব্যাপক গালিগালাজ করেছেন তৃণমূল নেতারা। যদিও, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির।
নন্দীগ্রামের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য কর বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চেয়েছি। কিন্তু বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করানোর চেষ্টা করতেই এলাকার মানুষরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটারদের প্রভাবিত করতে জোর করে তাঁদের টোটোয় তুলে বুথে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়েছিলাম। একসঙ্গে মিলেমিশে ভোট চেয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি রীতিমতো গায়ের জোরে ভোট জিতেছে।’’ বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘বাংলার যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারবে সেখানেই তৃণমূল হারবে ও বিজেপি জিতবে। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়াতেও তাই হয়েছে। বহিরাগতদের আনার যে অভিযোগ তৃণমূল করছে তা পুরোপুরি অসত্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ ও বহিরাগতদের দিয়ে সমবায় নির্বাচন জিততে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়ানোয় হার হয়েছে ওদের।’’
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া অঞ্চল কয়েক বছর ধরেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গত বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে এই অঞ্চল থেকে প্রায় ছ’হাজার ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে এগিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।