মোদির রবিবাসরীয় ব্রিগেডে এ যেন এক অন্য লড়াই। লড়াইটা রাজনীতির ময়দানে নয় যদিও রাজনীতি থেকে কম ও নয়। লড়াইটা পোস্টার ব্যানারর। লড়াইটা “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” বনাম “আর নয় অন্যায় এবার আসল পরিবর্তন চাই।” ব্রিগেড মাঠের প্রত্যেকটি রাস্তাটি তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রস্তাব এবং পতাকাকে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে নেই অবশ্য বিজেপিও। তৃণমূল কংগ্রেসে একেকটি ব্যানারের পাশে তিন থেকে চারটি করে বিজেপির ব্যানার। কোন ব্যানারে দিলীপ ঘোষের ছবি,কোন ব্যানারে জে পি নাড্ডার ছবি, আবার কোনও কোনও ব্যানারে নরেন্দ্র মোদির ছবি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দেওয়া পোস্ট করে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে গোটা ধর্মতলা চত্বরেই এই ছবি ধরা পড়েছে। সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে শুরু করে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল গোটা শহরটাই যেন আজকে পোস্টারে পতাকা তে ঢেকে গেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রবিবার মোদীর ব্রিগেড এর দিন “বাংলা নিজের মেয়ে কেই চায়”এই পোস্টার-ব্যানার লাগাতে হবে। শুধু তাই নয় গোটা শহর পতাকার পতাকায় মুড়ে ফেলতে হবে। সেই মোতাবেক গোটা শহর এর পাশাপাশি এদিন ভোটার ধর্মতলা চত্বরসহ ব্রিগেডমুখী প্রত্যেকটি রাস্তাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা- ব্যানার-পোস্টারে ছয়লাপ। রয়েছে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
যদিও ব্রিগেডমুখী বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। ব্রিগেডমুখী এক কর্মী সমর্থক বলেন ” এবার সরকারি পরিবর্তন হয়ে যাবে বলতো পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে কোন লাভ নেই।” তুমি শুধু পোস্টার-ব্যানার নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা কৌশল হিসাবে এবার বিজেপির তরফেও নতুন নতুন স্লোগান নেওয়া হয়েছে। ন্যানো থেকে শুরু করে পাড়ায় সমাধান, দুয়ারে সরকার একাধিক বিষয় নিয়ে নিত্য নতুন স্লোগান তৈরি করেছেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীসমর্থকরা। ব্রিগেডে আসার জন্য আবার স্লোগান গুলিকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলেছেন কর্মী-সমর্থকরা। ব্রিগেডমুখী একাধিক দাস এবং কর্মী-সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য গোটা ধর্মতলা চত্বরকে গোটা পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছিল।