রাজ্যে চার দফায় ১৮০টি আসনের ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এখনও ৪ দফায় বাকি ১১৪ আসনের ভোটগ্রহণ। তার আগেই পঞ্চম দফার পরের দিন অমিত শাহর দাবি, ১২২টির বেশি আসনে জিততে চলেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে হেঁটে যেতে পারেন তার জন্য ২ মে-র আগে ‘দিদি’ সেরে উঠুন বলেও কটাক্ষ করলেন অমিত। রবিবার জামালপুরের সভা থেকে অমিত বলেন, ‘‘দিদির গুন্ডারা কিছু করতে পারেনি এই ৫ দফায়। তাই দিদি হতাশায় ভুগছেন।’’ এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মমতার আরোগ্য কামনা করেও কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘দিদি ২ মে-র আগে সেরে উঠুন। উনি যেন হেঁটে হেঁটেই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র দিতে যেতে পারেন।’’ অমিতের দাবি, এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হওয়া আসনের দুই তৃতীয়াংশই বিজেপির দখলে যাবে। বলেন, ‘‘বিজেপি ৫ দফাতেই ১২২টির বেশি আসনে জিতে গিয়েছে।’’
এমন দাবি অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণের পর থেকেই অমিত একা নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী শুরু করে দেন। তৃতীয় দফার ভোটের পরে অমিত বলেছিলেন ৬২ থেকে ৬৫ আসনে জিততে চলেছে বিজেপি। চতুর্থ দফার পরে বলেছিলেন সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। এ বার বললেন, ১২২ পার হয়ে গিয়েছে। শুধু শাহ বা মোদী নন, রাজ্য বিজেপি নেতারাও জয় নিয়ে প্রত্যয়ী মনোভাব দেখাচ্ছেন এখন থেকেই। রাজ্যের নেতারা অনেকেই দাবি করছেন, ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের পরে নীলবাড়ি দখলের শক্তি পেয়ে যাবে বিজেপি। শেষ দু’দফায় যা আসন আসবে তা বাড়তি।
রবিবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন অমিত। সর্বত্রই তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। বলেন, ‘‘বাংলায় নতুন মডেল চালু করেছে তৃণমূল সরকার। বোমা-গুলি-বন্দুকের জোরে সরকার চলছে বাংলায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই মডেল বদলে যাবে। ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হবে, সোনার বাংলায় তৈরি হবে।’’ শুধু বড় ব্যবধানে ক্ষমতায় আসাই নয়, নন্দীগ্রামের ফল নিয়েও রবিবার ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বলেন, যে যত বড় নেতা, তাঁর বিদায় তত বড় হওয়া উচিত। নন্দীগ্রামে দিদির হারের ব্যবধান অনেক বেশি হবে।’’