শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন কোচবিহারে প্রাণ গিয়েছে ৫ জনের। রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে শিলিগুড়ির সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ করলেন, বিজেপি-র প্রতি মানুষের সমর্থন দেখেই ঘাবড়ে গিয়ে দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে।
সভা থেকে কী বললেন মোদী।
• আমরা ক্ষমতায় এলে শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন করব। ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, থাকব। নতুন বছরে নতুন বাংলা গড়ব।
• কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য অনেক প্রকল্প করেছে। কিন্তু দিদির লোক তা পৌঁছতে দেয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আপনারা কাটমানি ছাড়া সব প্রকল্পের সুবিধা পাবে। আমরা ক্ষমতায় এলে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা সব সুবিধা পাবেন।
• দিদি বলছেন আপনারা নাকি টাকা নিয়ে এখানে এসেছেন। দিদি আপনাদের অপমান করছেন। বাংলার মানুষের আত্মসম্মানকে অপমান করেছেন উনি। দিদি সবাই আপনার গুণ্ডাদের মতো হয় না।
• দিদি শিলিগুড়িতেই বলেছেন, তৃণমূলের লোকেরা ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা নিচ্ছে। তাতে কী হয়েছে? কী অবস্থা। দিদি আপনি গরিবদের কষ্ট দেখতে পান না। তাই আপনাদের যেতে হবে।
• দিদি শুধু আপনাদের অভাব ও ভেদভাব দিয়েছে। আমি লকডাউনের সময় যে চাল পাঠিয়েছিলাম সেখানেও কাটমানি এসে গেছে।
• দিদি এখন সভা থেকে বলছেন কী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরতে হবে। কী ভাবে ছাপ্পা ভোট দিতে হবে। এসব করে কিছু হবে না।
• দিদির লোকেরা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না বলে দিদি রেগে যাচ্ছেন। আমাকেও খারাপ কথা বলছেন।
• দিদির এক নেতা বলেছেন তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা ভিখারির মতো করে। এত বড় কথা। আসলে তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা বিজেপি-কে সমর্থনে করায় দিদি রেগে যাচ্ছেন।
• আমি একটা ভিডিয়োতে দেখেছি দিদির মন্ত্রী ক্যামেরার সামনে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। এটাই দিদির ১০ বছরের শাসনের ফল। বিজেপি-কে ভোট দিলে দিদির লোক তাঁদের বাইরে ফেলে দেবে? এত সাহস। বাংলার সব মানুষ থাকবে। দিদি আপনিই যাবেন। আপনার সঙ্গে তোলাবাজ, কাটমানিও যাবে।
• বিজেপি ক্ষমতায় এলে তোলাবাজ মুক্ত, কাটমানি মুক্ত বাংলা হবে।
• কোচবিহারে যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে আমার সমবেদনা। বিজেপি-র দিকে সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ঘাবড়ে গিয়েছে। তাই দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী এ ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আক্রমণ করছে। আমি কমিশনকে আবেদন জানাচ্ছি কড়া ব্যবস্থা নিতে।
• উত্তরবঙ্গ বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে। বাংলার মানুষের ইচ্ছাশক্তি দেখে সবাই অবাক। এই ইচ্ছাশক্তি আসল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
• আমার সৌভাগ্য আমি আবার উত্তরবঙ্গে আসতে পেরেছি। উত্তরবঙ্গ আমাকে অনেক ভালবাসা ও আশীর্বাদ দিয়েছে।
• যাঁরা রোদে এসেছেন তাঁদের কষ্ট বৃথা যাবে না।