শুরু হল শেষ দফার ভোট। বৃহস্পতিবার অষ্টম দফায় রাজ্যে মোট ৩৫ আসনে নির্বাচন। প্রতিটি দফাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়াকড়ি দেখা গিয়েছে নীলবাড়ির লড়াইয়ে। করোনা-বিধি মানা নিয়েও কড়া ছিল কমিশন। কিন্তু রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দফায় দফায় নতুন নতুন বিধি আরোপ করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ হয়ে যাওয়াই শুধু নয়, শেষ দফার শেষের দিকে প্রচারে মিছিল, পদযাত্রাও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আর ভোটের দিনেও বুথে বুথে করোনা বিধি মানা নিয়ে আগের সাত দফার তুলনায় কড়া পদক্ষেপ করছে কমিশন। প্রতিটি বুথে স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে সকলের জন্য মাস্ক ও গ্লাভস বাধ্যতামূলক থেকেছে আগের দফাগুলিতেও। কিন্তু এই দফায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভোটের লাইনে শারীরিক দূরত্ব বজায়ের ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়াকড়িও সমান মাত্রায়। এই দফায় ভোটগ্রহণ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও কলকাতার মোট ৩৫ আসনে। এই আসনগুলির জন্য ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাহিনী বীরভূম জেলায়। ১১ আসনের জন্য রয়েছে ২২৪ কোম্পানি। যেখানে মালদহের ১২টি আসনের জন্য ১১০ কোম্পানি আর মুর্শিদাবাদের ১১ আসনের জন্য ২১২ কোম্পানি বাহিনী। কলকাতায় ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ। তার জন্য বাহিনী রয়েছে ৯৫ কোম্পানি।
এই ৩৫ কেন্দ্রের রাজনৈতিক সমীকরণও গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনগুলির মধ্যে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট ১৭টি করে আসনে জিতেছিল। এর মধ্যে বামেরা ৩, কংগ্রেস ১৩ এবং জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ১টি আসনে জেতে। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে মালদহের ১টি কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ৪ জেলার এই ৩৫টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। আর ১১টি আসনে এগিয়ে থেকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ৫টি বিধানসভা এলাকায়।