২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা যে বিজেপির পাখির চোখ তা আর বলার অপেক্ষা নেই। পশ্চিমবঙ্গে পদ্ম ফোটাতে সর্বশক্তিতে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যে আসছেন বিজেপির স্টার প্রচারকেরা। কখনো যোগী আদিত্যনাথ, কখনও রাজনাথ সিং আবার কখনও বা অমিত শাহ থেকে শুরু করে খোদ মোদী। মমতার কুর্শি টলাতে একেবারে বদ্ধ পরিকর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আর সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ ফের একবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বঙ্গ সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে উৎসুক তার প্রমাণ মিলেছে বুধবারই। মোদী বুধবার রাতে টুইটারে লেখেন, “১৮ মার্চ আমি আমার পশ্চিমবঙ্গের ভাই ও বোনেদের মধ্যে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। আমি পুরুলিয়ায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখব। রাজ্য জুড়ে পরিবর্তনের আশা জেগেছে। বিজেপির সুশাসনের কর্মসূচি জনগণের মধ্যে সুরেলা আওয়াজ তুলেছে।”
এদিন সকাল ৮ টা ৪৫ এ দিল্লি থেকে রওনা দেবেন মোদী। ১০ টা ৩৫ এ দুর্গাপুর বিমান বন্দরে নামার কথা তাঁর। ১১ টা থেকে সভা শুরু হবে। হুটমুড়ার ফুটবল মাঠে নামবে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার। ভাঙড়ায় নির্বাচনী সভা করবেন মোদী। নবকুঞ্জের মাঠে তাঁর সভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
নমোর এই সভার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোর্তিময় মাহাতো ও ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্রকুমার রায়। প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক বাইরের রাজ্য থেকে ডেকে আনতে হবে বলে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। পালটা বিজেপি জানিয়েছে, সভা ভরাবে পুরুলিয়ার মানুষই।
পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রয়েছেন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘মমতার সভায় যা লোক হয়েছিল, তারা সিকিভাগও হবে না।’ উল্লেখ্য, হুটমুড়ার ফুটবল মাঠে ১৯ জানুয়ারি সভা করেছিল তৃণমূল নেত্রী। এবার সেই মাঠেই নামছে প্রধানমন্ত্রী কপ্টার।
প্রসঙ্গত এর আগে ৭ মার্চ ব্রিগেডে এসেছিলেন মোদী। এর ১১ দিনের মাথায় ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেও চলতি মাসে আরও ৩ বার রাজ্যে আসবেন মোদী। ২০, ২১ ও ২৪ মার্চ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।