পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাকুঁড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির ব্লক সভাপতি। তার হুমকি ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বারবার বলছেন এবার রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ কোনোভাবেই অশান্ত করতে দেবেন না। তিনি একথা বললেও সে কথার তোয়াক্কা না করেই তার দলের নেতারা একের পর এক হুমকি হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন। এবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে হুমকি দিলেন শাসক দল তৃণমূলের ব্লক নেতা। প্রকাশ্যে জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গঙ্গাজলঘাঁটি ১ নম্বর সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে’কে স্থানীয় বিডিও ও থানার আইসিকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়।
মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় হৃদয় মাধব দুবে বলেন, “বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে গেলে ডেপুটেশনকারীরা বিডিও অফিসের বাইরে থাকেন। আর একটি প্রতিনিধি দল দফতরে ঢুকে ডেপুটেশনের স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু বিজেপির ডেপুটেশনের সময় গেট খুলে সকলে কিভাবে বিডিও অফিসে ঢুকল তার কৈফিয়ৎ আমাদের সামনে বিডিও ও আইসিকে দিতে হবে। তিনি হুমকির সুরে বলেন, “বিডিও ও আইসি শুনে রাখুন, বিজেপির দালালি করা চলবে না”। এরপরই তৃণমূলের ওই ব্লক সভাপতিকে রীতিমত হুমকির সুরে বলতে শোনা যায়, “আমরা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে সমাজসেবা করতে এখানে আসিনি। আমরা রাজনৈতিক দল। রাজনীতির মাধ্যমে সমাজসেবা করি। এইভাবে বিজেপিকে সমর্থন করলে আমরা কিন্তু আপনাদের ছাড়ব না। আমরা বিডিও অফিস ও থানা ঘেরাও করব”।
তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিল করে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলে লোক সমাগম দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতারা প্রলাপ বকছেন। বিজেপির গঙ্গাজলঘাঁটি মন্ডল সভাপতি ভাস্কর লাহা বলেন, ওরা পুলিশ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে দিতে চায় না। তৃণমূলের ভয় পুলিশ এবং প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা গো হারান হারবে। তাঁর দাবি গণতান্ত্রিক প্রথা মেনে সব রাজনৈতিক দলই ডেপুটেশন দিতে পারে। কিন্তু সরকারি আধিকারিক ও মানুষকে সম্মান দিয়ে মন্তব্য করা উচিৎ। তাদের দলের কেউ এমন মন্তব্য করে থাকলে সেটাও ঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।