পেঁয়াজ সহ একাধিক ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মাটিতে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নাকি অবনতি ঘটেছে। কিন্তু কখনই হাসিনা সরকারের তরফে তেমন কোনপ বক্তব্য দেওয়া হয়নি। কিন্তু এরপরেই প্রশ্ন উঠতে থাকে।
যদিও বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে বারবার ভারত এবং বাংলাদেশ একে ওপরের পাশে থেকেছে। রাজনৈতিক এই পরিস্থিতিতে ‘নিন্দুক’দের কড়া বার্তা দিতে চায় ভারত। আর সেই কারণে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের তরফে এই বাংলাদেশকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। একাধিক ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চায় প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সূত্রের খবর, ভারতের এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর সেই মতো ডিসেম্বরে শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা। তবে ঢাকা চায়, ওই সময় বাংলাদেশ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়। হয়তো পরিস্থিতি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ডিসেম্বরে দুই দেশ অর্থাৎ ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হতে পারে। মঙ্গলবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের ‘জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন’ (জেসিসি) বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ভার্চুয়ালি বৈঠকটি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
জেসিসির মঙ্গলবারের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ ২৫ মিনিট ও ভারত ২৫ মিনিট সময় পাবে। মোট ৫০ মিনিট! তবে এত অল্প সময়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন মোমেন সাহেব। তাঁর মতে, গোটা দিনব্যাপী আলোচনা করলে অনেক বিষয়ে অগ্রগতি সম্ভব ছিল। ফলে এই বৈঠকে খুব বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
অন্যদিকে, জেসিসি এই বৈঠকের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মুজিববর্ষে যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করবে ভারত এবং বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী শেখ হাসিনার জন্মদিন। ৭২ বছরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে চিনের ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টি।
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে পাঠানো বার্তায় মোদী বলেন, তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। দু-দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মোদী।
ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে সেই বার্তা পৌঁছে দেন। চিন থেকেও এসেছে শুভেচ্ছা। চিনের সরকারে থাকা কমিউনিস্ট পার্টিও বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।