‘আক্রান্ত’ বিজেপি কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের পিছনে থাকা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি পাঁশকুড়ার চাঁপাডালির।
শনিবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন পাঁশকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়া। সেখানে তাঁর উপর তৃণমূলের লোকজন হামলা চালান বলে অভিযোগ। রবিবার রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে যান শুভেন্দু। ফেরার পথে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে চাপাডালির কাছে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী রাস্তা আটকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তারইমধ্যে শুভেন্দুর কনভয়ের পিছনে থাকা গাড়ির উপর তৃণমূলকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপির দাবি, হামলার জেরে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
বিজেপির দাবি, পরিকল্পিতভাবে শুভেন্দুর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল না হওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক বাইকে। যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বিষয়টিকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে দাবি করেছে শাসক দল। রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেছেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। স্থানীয় এক যুব তৃণমূল নেতা দাবি করেন, শান্ত পাঁশকুড়াকে অশান্ত করতে এসেছেন শুভেন্দু। সুকুমার বিভিন্ন রকমের দুর্নীতিমূলক কাজে যুক্ত। বাইরে থেকে লোকজন এনে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।