এ যেন হারের আগেই হার স্বীকার। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর গলায় বিষাদের সুর। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটের ফলের ট্রেন্ডে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফেরার আশা ক্ষীণ হতে শুরু করে জেডিইউ-এর। করোনা-হানার জেরেই সব হিসেব ওলোট-পালোট হচ্ছে বলে দাবি বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের।
এক বছর আগেও বিহারের একটি লোকসভা কেন্দ্রেও জেতার ক্ষমতা ছিল না আরজেডি-র, এমনই দাবি জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর। তাঁর আরও দাবি, ‘‘গত লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিহারের ২০০টিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে জেডিইউ ও তার সহযোগী দলগুলি জয় পেয়েছিল।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গত এক বছরেও কিচ্ছু বদলায়নি। ব্র্যান্ড নীতিশে বিন্দুমাত্র ধাক্কা লাগেনি। তেমনই আরজেডি-র পক্ষেও জনমত গড়ে ওঠেনি। করোনাভাইরাসের তাণ্ডবই আমাদের খারাপ ফলের পিছনে দায়ী।’’
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিহারে বিধানসভা ভোটের ফল গণনা শুরু হয়েছে। ভোটের ফলের ট্রেন্ডে সকাল থেকেই বিহারে জয়জয়কার মহাজোটের। ভোট গণনা শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই অনেক এগিয়ে মহাজোট। লড়াই কঠিন হতে শুরু হয়েছে বিজেপির। এনডিএ জোটের অবস্থান এখনও খুব একটা ভালো নয়। নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ জোটের চেয়ে বেশ খানকিটা এগিয়ে মহাজোট।
বেশিরভাগ এক্সিট পোলেই দেখা গিয়েছে, কাঁটে কি টক্কর অর্থাৎ একে অন্যের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। কিন্তু কিছু সমীক্ষায় মহাজোট বিপুল জয় পেয়ে সরকার গড়তে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। বিহারে এবার মহাজোটের মহাউত্থান? নীতিশ কি ডুবছেন? পাটলিপুত্রের কুর্সি কি তেজস্বীর দখলে? উত্তর জানতে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।