রামপুরহাট, ১৫ মে: বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে তার বাড়িতে হামলা চালাল তিন দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পেল না দুই বছরের শিশু কন্যাও। তাকেও তুলে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার হস্তিকাঁদা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোষ বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভোটের সময় সামনের সারিতে প্রচার চালিয়েছিলেন। সেই কারণে ভোটের আগে জগন্নাথকে খুনের হুমকি দিয়েছিল গ্রামের তৃণমূল কর্মী মিঠু ঘোষ, অষ্টম ঘোষ ও বাপন ঘোষরা। সেই সময় জগন্নাথবাবু রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে শনিবার বিকেলে বাড়িতে হামলা চালাল ওই দুষ্কৃতীরা। জগন্নাথ বলেন, “ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে আমি বাড়ি ছাড়া। আমাকে না পেয়ে শনিবার বিকেলের দিকে তিন অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় বাড়ির দরজায় বড় বড় পাথর ছুঁড়তে থাকে। দরজা ভেঙ্গে তারা ভিতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙ্গচুর চলায়। মারধর করে বাবা ও দাদাকে, দুই বছরের ভাইজিকে তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। অল্পের জন্য ভাইজি রক্ষা পায়। পরিবারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়”। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
রামপুরহাট বিধানসভার বিজেপির প্রার্থী শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “ভোটের আগে থেকে ওই গ্রামে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে। জগন্নাথকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই গ্রামছাড়া জগন্নাথ। এবার তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে হামলা চালাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা”।
কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মণিমালা ঘোষ বলেন, “মিঠু দলের কেউ নয়। সব সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকে। এই ঘটনা পারিবারিক হতে পারে”।
আশিস মণ্ডল