সঙ্কীর্ণ রাজনীতির ওপরে ওঠার আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার মেদিনীপুরে শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মভিটেতে গিয়ে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা ও বাঙালি সংগ্রামীদের অবদান ভারত কখনও ভুলবে না”।
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে রাজ্যের শাসকদল যে প্রচার শুরু করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। শনিবার সরাসরি সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে অমিতবাবু বলেন, শহিদ ক্ষুদিরাম যতটাই বাংলার ছিলেন, ততটাই ভারতের। রামপ্রসাদ বিসমিল যতটা উত্তরপ্রদেশের ছিলেন, ততটাই বাংলার ছিলেন। স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন, তাঁরা এই ভেদাভেদ করেননি। আজ এই বিশেষ দিনে আমাদের সবাইকে সঙ্কীর্ণ রাজনীতির ওপরে উঠতে হবে।
অমিতবাবু বলেন, ক্ষুদিরামের জন্মস্থানে এসে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এখানকার মাটি কপালে লাগিয়ে একটা নতুন চেতনা অনুভব করছি। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা ও বাঙালি সংগ্রামীদের অবদান ভারত কখনও ভুলবে না। ১৮ বছরে হাতে গীতা নিয়ে ফাঁসিমঞ্চে প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁর এতটা জনপ্রিয়তা ছিল যে কিছু লোক ধুতিতে ক্ষুদিরাম লেখা শুরু করেছিল। ফাঁসিমঞ্চে ওঠার সময়ে তিনি যে বন্দেমাতরম ধ্বণি দেন, তা পুরো বাংলা ও ভারতের যুবকদের স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর করে দেয়। শহিদ ক্ষুদিরাম বাংলার যুবকদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা যুগিয়েছিলেন।
অমিতবাবু বলেন, এই দিন আরও তিন জন রামপ্রসাদ বিসমিল,আসফাকুল্লা খান এবং ঠাকুর রোশন সিংয়ের ফাঁসি হয়েছিল। বাংলায় পবিত্র ভূমিতে এসে এই তিন বীর শহিদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা তো এখনও দেশের জন্য শহিদ হওয়ার সুযোগ পাইনা। শহিদ ক্ষুদিরামের মূল্যবোধকে স্মরণ করে মোদীজীর নেতৃত্বে মজবুত ও সুরক্ষিত ভারত তৈরি করতে হবে আমাদের। সবশেষে আবার স্মরণ করছি শহিদ ক্ষুদিরামকে। তাঁকে প্রণাম করি। শ্রদ্ধা জানাই।
পরে টুইটে তিনি লেখেন, বীরত্ব ও সাহসের প্রতীক ক্ষুদিরাম বসুকে পুষ্প নিবেদনের মাধ্যমে আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করলাম। যিনি খুব অল্প বয়সেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শহীদ ক্ষুদিরামের এই আত্মবলিদান আজও দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।