কেন তাঁর সভায় ভিড় নেই? কেন রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর সভার আগে জেলায় সেভাবে প্রচার করে মানুষকে বোঝাতে পারেনি? তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাঁর সভাতেই সোমবার যে ভিড় হয়নি তা নয়। মঙ্গলবার রাজ্যে বিজেপি বিদ্রোহী নেতা জে পি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথ যখন সভা করছেন তখন সেই সভাতেও আশানূরুপ সাড়া ছিল না কেন? কেন তিনি ও বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা রাজ্যে উপস্থিত থাকার পরও প্রার্থী পছন্দ নয় বলে রাজ্য নেতারা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন? এই সমস্ত কারণ নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে সামনে বসিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে বিজেপি-র কর্মীদের মধ্যে প্রার্থী অপছন্দের কারণ নিয়ে যে অভ্যন্তরীন কলহ সৃষ্টি হয়েছে তার চূড়ান্ত ফায়দা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের মুখে এই রকম সুযোগ পেলে কেই বা ছেড়ে দেয়? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার তাঁর জঙ্গলমহলের সবকটি সভা থেকে বিজেপি-র শীর্ষ নেতা অমিত শাহের সভায় ভিড় না হওয়া এবং প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিজেপি-র ঘরোয়া কোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
এই প্রসঙ্গে সৌগত রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, “বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা রাজ্যে এসে নানান সময় নানান কথা বলে চলে যান। কর্মীরা সে সব শুনে উদ্দীপ্ত হন। কিন্তু রাজ্যস্তরে বিজেপি-র নেতা কোথায়, যারা কর্মীদের শৃঙ্খলায় আনবেন? সেই তো তৃণমূল ছেড়ে যারা গেছেন তাদের সামনের সারিতে রেখে দলটা চলছে। তাঁরাই এখন বিজেপি নেতা, তাঁরাই প্রার্থী। কাজেই পুরনোদের ক্ষোভ স্বাভাবিক।”
আজ বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত শাহ বুধবার দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় ও অন্যান্য রাজ্য নেতাদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের পর কর্মীদের ক্ষোভে নিরসন হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “যে কোনও ভাবে কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত করে নির্বাচনের আগে রাজ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে হবে।”