দেশের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা নিয়ন্ত্রণে নেই। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সর্বদলীয় বৈঠকের দিকে নজর রয়েছে দেশের। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় যে বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই বৈঠকে মূলত কি নিয়ে আলোচনা হবে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র, নাকি ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হতে পারে, সেই নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সংসদের দুই কক্ষের ফ্লোর লিডাররা। থাকতে চলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
দেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে এই বৈঠকে। এরই সঙ্গে দেশে ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতির বিষয়েও খোঁজ খবর নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, জেনোভা বায়ো ফার্মাসিউটিক্য়াল লিমিটেড, বায়োলোজিক্যাল ই লিমিটেড, ডঃ রেড্ডিস ল্য়াবরেটরিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংশ্লিষ্ট সংস্থায় যাঁরা ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদী। এরপরেই ৩ সংস্থাকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সহজ ভাষায় বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোদী যাতে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন সংস্থার প্রস্তাব, মতামত চেয়েছেন মোদী। দীর্ঘ কয়েকমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আগে ইঙ্গিত মেলে যে, সামনের বছর ফেব্রুয়ারি – মার্চ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। তবে সেইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, সবার প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন যে তাঁরা একবারও বলেননি যে দেশের সমস্ত মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিনি এদিন সাফ জানান, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য পাওয়ার পরই টিকাকরণ শুরু হবে। এক্ষেত্রে কাদের টিকাকরণ হবে সেটা স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঠিক করবে।