যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য সব আসনে লড়াই করতে চলেছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে একবারও নিজেদের নামে প্রার্থী অবধি না দেওয়া এবিভিপি শিবিরে আজ উন্মাদনা চরমে। গতবারের নির্বাচনে নিজেরা প্রার্থী না দিলেও ‘ন্যাশেন্যালিস্ট স্টুডেন্ট ফ্রন্ট’ নামের ব্যানারে লড়েছিল সংঘের ছাত্র সংগঠন। সেবার কোন আসনে না জিতলেও ভোটের বিচারে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবিভিপি ।
কাজেই নির্বাচন নিয়ে স্বভাবতই খুব উৎসাহী সংঘ পরিবারের সুপ্রাচীন এই ছাত্র সংগঠন। এবারে প্রচারেও তাদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। বর্তমানে ক্ষমতাসীন বাম এবং অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলির চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করেই প্রচারে নামেন এবিভিপির প্রার্থীরা। প্রথমেই তাদের অভিযোগ ছিল ক্ষমতাসীন সংগঠনগুলির প্রচারে বাধা দেওয়ার। ক্লাসরুমে প্রচার চলাকালীন বাম সংগঠনগুলি এবিভিপির প্রার্থীদের ছাত্র-ছাত্রিদের সঙ্গে যোগাযোগে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে এবিভিপি। ওঠে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়াল লিখনের বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ।
নির্বাচন যত এগোতে থাকে বাধাদানের অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। সর্বশেষ অভিযোগ ওঠে প্রার্থীদের ফোনে এমনকি হুমকি দেওয়ারও। কিন্তু শত বাধা অতিক্রম করেও প্রচার চালিয়েছে এবিভিপি। সেই প্রচারাভিযানের আজ অ্যাসিড টেস্ট। এখন দেখার প্রথমবারে বামগড় যাদবপুরে কতটা সফল হয় দেশের অন্যতম প্রাচীন দক্ষিণপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ।