গতকাল জ্বালানির দাম কমানো নিয়ে পথে নেমে দলীয় ভিড় করা ছাড়া আর তেমন কিছু ঘটেনি। বরং বিজেপির এই জমায়েতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই এবার মঙ্গলবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ জ্বালানির দাম কমানোর ইস্যুতে জেলায় জেলায় আন্দোলনের ডাক দিলেন। দ্রুত তা শুরু হবে বলেও জানান।
সম্প্রতি পেট্রোল–ডিজেলের উপর শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই বঙ্গ–বিজেপি রে রে করে নেমে পড়েছে। এই রাজ্যেও পেট্রোপণ্যের উপর থেকে ভ্যাট কমাতে হবে বলে রাস্তায় নেমে পড়েন বিজেপি নেতারা। সেখানে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে সমস্যা একটাই। পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে মানুষের পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির থেকে ৪ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে কেন্দ্র। যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আছে সেখানে টাকা জুগিয়েছে। আমাদের তো টিকাও দেয় না, টাকাও দেয় না।’ এই মন্তব্যের পরই চাপে পড়ে যায় বিজেপি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর আজ তিনি বলেন, ‘কেন জ্বালানির দাম এই রাজ্যে এখনও বেশি? কার স্বার্থে বেশি? আজ থেকেই জেলায় জেলায় মানুষকে এটা জানাতে এবং বোঝানো শুরু করা হবে। তারপর প্রতিটি জেলায় আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। বিজেপিকে কোনওভাবে রোখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রুখতে হবে এটাই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। আর কোনও আজেন্ডা নেই। তাই বিজেপি যাই করতে যায়, তাতেই বাধা দেওয়া হয়।’
ডিসেম্বর মাসে পুরভোট। তাই এই ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। অন্যান্য রাজ্য দাম কমালেও পশ্চিমবঙ্গ দাম কমাচ্ছে না বলে প্রচার করা হবে। এই বিষয়ে আজ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সর্বশক্তি দিয়েই পুরভোট লড়বে বিজেপি। তবে এখনই কোনও নেতাকেই মেয়র প্রজেক্ট করা হচ্ছে না। নির্বাচনের ফলাফল দেখে আলোচনা হবে এবং তারপরে সিদ্ধান্ত হবে।’