হাথরস গণধর্ষণের মর্মান্তিক পরিণতি, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মোদীর

ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী থাকল হাথরস। নৃশংস গণধর্ষণের পর মর্মান্তিক পরিণতি। ১৫ দিন টানাপোড়েনের পর মৃত্যু। তার উপর দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এই অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক দলিত সম্প্রদায়ের তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই নৃশংস ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডকে। কারণ, এক্ষেত্রেও গণধর্ষণের পর তরুণীর ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়।

চাপের মুখে হাথরসে গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের। স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও দলে রয়েছেন ডিআইজি এবং এক আইপিএস অফিসার। গোড়া থেকে তদন্ত এবং ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দ্রুর অপরাধীদের চিহ্নিত করা কথা বলেছেন মোদী।

মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় দলিত পরিবারের ওই তরুণীর। পরে হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। পুলিশের সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের বচসাচলে। রাত ১০টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে দেহটি ছেড়ে দেওয়া হলে, তাঁদের কিছু না জানিয়েই পুলিশ দেহটি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা ও দাদা। হাসপাতালের বাইরে ধর্নায়ও বসেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।

দেহটি হাথরসে বাইরে পৌঁছতে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়রা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত মেয়েকে দাহ করবেন না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু এরই মাঝে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে পুলিশ। রাতেই দাহ করতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করে নির্যাতিতার পরিবারের উপর। নির্যাতিতার বাবা ও দাদার অভিযোগ, তাঁদের আপত্তি সত্বেও পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে যায় ও পুড়িয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.