মালদহ বিস্ফোরণ: কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া সত্য সামনে আসবে না, দাবি দিলীপের

রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই এখন বিস্ফোরণ হচ্ছে। এসব সত্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া সামনে আসবে না। সিআইডি কিংবা রাজ্য পুলিশ চাইছে না সত্য প্রকাশ হোক। বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে একটি মামলায় জামিন নিতে এসে সুজাপুর বিস্ফোরণ নিয়ে এই মন্তব্যই করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

এদিন মালদহের সুজাপুরে বিস্ফোরণে চার জন মারা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, বাইরে থেকে উগ্রপন্থী, বিস্ফোরক আসছে। বাংলায় অস্ত্রের কারখানা তৈরি হচ্ছে। প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এরা কেবল বিজেপিকে আটকাতে ব্যস্ত। মুর্শিদাবাদে একাধিক উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিস্ফোরণ হচ্ছে। রোহিঙ্গা আর অনুপ্রবেশকারীদের গড় হয়ে গিয়েছে। তারা ভারতবর্ষে উৎপাত করছে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় জোরদার বিস্ফোরণের শব্দে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাঁরা জানিয়েছেন, কর্মরত শ্রমিকরা সকলেই ওই এলাকারই বাসিন্দা। মোট জনা পঞ্চাশেক শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করতেন। কাজ চলাকালেই একটি ক্রাশার মেশিন সশব্দে ফেটে যায়। এই ক্রাশার মেশিনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের দানা বের করা হয়।

আহত শ্রমিকদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও অনেকে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে শ্রমিকদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে।

এরপরই টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাজ্যপাল লিখলেন, “এবার তো বোমা তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করুন।” এদিন দুপুরে উল্লাস মোড় থেকে বিজেপির সমর্থকরা বাইক মিছিল করে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আসেন দলের জেলা অফিসে। সেখান থেকে ফের মিছিল করে আদালতে পৌঁছন।

যদিও মাঝপথে দফায় দফায় পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। বর্ধমান আদালতে পৌঁছানোর আগে বিশাল মিছিল আটকালেও শেষ পর্যন্ত সমর্থকরাও আদালতে পৌঁছান। এদিন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হবার পর দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, গতবছর রায়নায় একটি জনসভায় পুলিশের বর্তমান দুরাবস্থা সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝাতে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেউ একজন মামলা করেন। আদালতের নির্দেশ মেনে তিনি এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। ফের ৩০ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে তাঁকে হয়ত আর বর্ধমান আদালতে আসতে হবে না, বারাসত আদালতে যেতে হবে।

এদিনও তিনি বলেন , পুলিশের অবস্থা এখন আরও খারাপ হয়েছে। ডিএ না পেয়েও পে স্লিপে সই করতে হয়েছে। ডিএ না পেয়েও তা স্বীকার করতে হচ্ছে। স্কুল কলেজে ভর্তি থেকে চাকরিতেও টাকা নেওয়া হচ্ছে।

এটা খুল্লামখুল্লা চলছে। এজন্য বহুলোকের নামে কেসও হয়েছে। এই সামাজিক পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের দুরবস্থা মানুষকে জানানোর দরকার আছে। এই সরকার থাকলে এটা দূর হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.