বঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচনে শনিবার সকাল থেকেই কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে। বেশ কয়েক জায়গায় ইভিএম মেশিন খারাপ হওয়ার খবর আসে আবার কয়েকটি জায়গা থেকে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলে শাসকদলের কর্মীরা। কিন্তু বেলা গড়াতেই ভোটদানের উৎসাহ দেখে উচ্ছ্বসিত হতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। দুপুর একটার মধ্যেই অধিকাংশ জেলায় পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে যায়। এবং বিকেল চারটেয় সেটা পৌঁছে যায় ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি। এরপরই বঙ্গ বিজেপির নেতারা ছুটলেন নির্বাচন কমিশনে। এবং প্রথম দফায় রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলেন।
রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। সেখানে তাঁরা একটি তালিকা কমিশনের কাছে দিয়ে এসেছেন। যেটাতে মূলত অপরাধীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে থাকা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি তাঁরা রাজ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসা এবং বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার তালিকাও তুলে ধরেন। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘তৃণমূল শেষ ৪-৫ দিনে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে। ৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জন বিজেপি কর্মীর। এখনও পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। একাধিক জায়গায় ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তৃণমূলের পুলিশের অভ্যাস এমনই। এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রেও আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়েছি’। তবে প্রথম দফার ভোট দেখে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ শেষ ৪ দশকে দেখেনি। প্রথম দফার ভোটে ৯০ শতাংশ বুথে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে কিছু দুষ্কৃতীর জন্য। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সেই দুষ্কৃতীদের বন্দি করতে পারলে ১০ শতাংশ গোলমালটাও হবে না’। তবে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু দক্ষিণ কাঁথিতে আক্রান্ত হন। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেটাও এদিন কমিশনে জানিয়ে এসেছেন বিজেপি নেতারা। এদিন বিজেপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিংহ, শিশির বাজোরিয়ারা।