অতিমারী “করোনা সংক্রমণ কালে : সজাগ থেকে সাফল্য” – যোগী আদিত্য নাথ মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন তিনি নিজেই । ২৪ শে মে ২০২০ বিকালে (24th May 2020, Sunday at 4:30 p.m.) RITAM LiVE-এ।
卐 করোনা পরিস্থিতির শুরুতে সবথেকে বেশি বিপদ এবং চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনেই ছিল কিন্তু সুদৃঢ় এবং সক্ষম নেতৃত্বের জন্য ভারত সেই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেয়েছে যার পুরো প্রেরণা মাননীয় মোদিজী প্রদান করেছেন।
卐 বিপদের মাত্রা অনুধাবন করে উত্তরপ্রদেশে শুরুতেই ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
卐 লকডাউনে যাতে একজনকেও অভুক্ত থাকতে না হয় সেজন্য রাজ্য স্তরের সাথে সাথে প্রতি জেলা, মহকুমা, ব্লক, গ্রাম স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে যাঁদের কাজ প্রতি বাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
卐 কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা।
卐 উত্তরপ্রদেশের 18 কোটি মানুষকে ইতিপূর্বে 5 বার বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বন্টন করা হয়েছে এবং 1লা জুন থেকে ষষ্ঠবার বিতরণের ব্যবস্থা।
卐 হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সময় পুরো পরিবারের সকলের জন্য 15 দিনের রেশন-কিট প্রদান।
卐 প্রতি রাজ্য থেকে যখন মানুষ পলায়ন করছেন তখন উত্তরপ্রদেশে আঁটকে পরা 25 লক্ষ শ্রমিকের একজনও পলায়নের জন্য ব্যাকুল হননি উপযুক্ত পরিষেবা পাচ্ছেন বলেই।
卐 উত্তরপ্রদেশের 25 লক্ষ্য প্রবাসী শ্রমিকের মধ্যে 22 লক্ষ্য শ্রমিকের জন্য ইতিমধ্যে কাজের ব্যবস্থা
卐 32 লক্ষ্য মানুষকে ভরণপোষণ ভাতা ও 86 লক্ষ্য মানুষকে পেনশন ভাতা প্রদান।
卐 কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ নজর যাতে কৃষকদের কোন ক্ষতি না হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সঠিক থাকে।
卐 উত্তরপ্রদেশেই বর্তমানে দেশের সর্বাধিক সমৃদ্ধ কৃষিক্ষেত্র এবং জলসংশোধন ব্যবস্থা।
卐 “One District One Project” প্রকল্প ঘোষণা যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করে আত্মনির্ভর ভারত নির্মানে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।
卐 গরিবদের সমস্ত সাহায্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রদান এবং প্রান্তিক মানুষকে সেই টাকার সহজ Transaction এর সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রতি গ্রামে ব্যাঙ্কিং কারেসপন্ডেন্ট নিয়োগ।
卐 দিল্লি থেকে 5 লক্ষ্য শ্রমিকের পলায়ন এবং নিজামুদ্দিন কান্ডের ফলে করোনা উত্তরপ্রদেশের 25 জনপদ থেকে অতি দ্রুত 73 জনপদে ছড়িয়ে পড়ে।
卐 কমিউনিটি স্প্রেড আঁটকাতে দিল্লি প্রবাসী শ্রমিকদের ও নিজামুদ্দিন কান্ডে জড়িতদের 48 ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।
卐 অতি দ্রুত 25 লক্ষ্য কোয়ারেন্টাইন বেডের পাশাপাশি রাজ্য সরকারি হাসপাতালে 86000 করোনা বেডের ব্যবস্থা।
卐 প্রবাসী শ্রমিকদের পাশাপাশি সমগ্র রাজ্যবাসীর করোনা স্ক্রিনিং এর জন্য 75000 কর্মী নিয়োগ।
卐 প্রবাসী শ্রমিকদের স্ক্রিনিং এর পাশাপাশি স্কিল ম্যাপিং এর ব্যবস্থা এবং তাঁদের স্বক্ষেত্রে কর্মসংস্থান এর জন্য পৃথক কমিশন গঠন।
卐 রাজ্যে আগত সকল প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিমা সহ সকল প্রকার সামাজিক সুরক্ষা প্রদান।
卐 যাঁরা গরিবদের জন্য শ্লোগান দেন তাঁরা গরিবদের স্বার্থে কাজ করলে প্রবাসী শ্রমিকদের এমন অসহায় অবস্থায় পড়তে হত না।
卐 “রাম এবং রোটি” দুটোই গুরুত্বপূর্ণ; মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের প্রদর্শিত পথেই রোটির প্রবন্ধ।
卐 যাঁরা রামকে ভোলাতে চান, তাঁরা “না ঘরকা না ঘাটকা”।
卐 রামের প্রদর্শিত পথেই “সজ্জ্বনের সাথে শাস্ত্রের ভাষা এবং দুর্জনের সাথে শস্ত্রের ভাষা” প্রয়োগ।
卐 যোগ্য এবং সক্ষম পথপ্রদর্শন এর জন্যই অতি কঠিন পরিস্থিতিতেও উত্তম সুযোগ সৃষ্টি।
卐 চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিনিয়োগের জন্য ভারতই সবথেকে উজ্জ্বল বিন্দু এবং উত্তরপ্রদেশ ভারতবর্ষের উজ্জ্বলতর বিন্দু।
卐 যেখানে একটাও করোনা টেস্টিং ল্যাব ছিল না এখন দিনে 10000 টেস্টিং রাজ্যের ল্যাবে সম্ভব।
卐 যেখানে উত্তরপ্রদেশ একটিমাত্রও মাস্ক, স্যানিটাইজার, PPE কিট কারখানা ছিল না সেখানে বর্তমানে এই সমস্ত জিনিসের রপ্তানিযোগ্য মাত্রায় উৎপাদন।
卐 সামগ্রিকভাবে উত্তরপ্রদেশের বার্ষিক রপ্তানি বৃদ্ধির হার 29%।
অনুলেখন : দ্বৈপায়ন ভারতীয়