জীবনযুদ্ধে হার মানলেন উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিক বিক্রম যোশী (Vikram Joshi)। ভাইঝির শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় সোমবার রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই গাজিয়াবাদের নেহেরুনগর এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বুধবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় বিক্রমের।
ভাইঝিকে কয়েকজন লোক যৌন হেনস্তার চেষ্টা করছে। দিন কয়েক আগে গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) বিজয়নগর থানায় এমনই লিখিত অভিযোগ জানান সাংবাদিক বিক্রম যোশী (Vikram Joshi)। তারপরই সোমবার রাতে তাঁর উপর নৃশংস হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বিজয়নগর এলাকাতেই নিজের মেয়েকে নিয়ে মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন বিক্রম। হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁকে লাথি-ঘুসি মারতে শুরু করে। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে মেয়ে। এরপরই একাধিকবার চলে গুলি। তারই মধ্যে একটি বিক্রমের মাথায় লাগে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। তারা চলে যেতেই বাবার কাছে ছুটে আসে মেয়ে। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। সাহায্য চায়। এরপর বিক্রমকে গাজিয়াবাদের নেহেরুনগরের যশোদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিক্রমকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তখনই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁকে দ্রুত ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার ভোরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিকে ওই সাংবাদিকের উপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও ৬ জন অভিযুক্তকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। একজন অভিযুক্ত পলাতক। গাজিয়াবাদ থানার এসএসপি জানিয়েছেন, যে থানায় বিক্রম ভাইঝির শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন, সেই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিহত সাংবাদিকের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন,”দেশে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রতিবাদের সুর দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”