অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সংখ্যালঘু তোষণ:
এবারের নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুর অস্তিত্বের লড়াই। বর্ধমানের খাগড়াগড়ের মতো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা, শিমুলিয়া মাদ্রাসার মতো মাদ্রাসা শিক্ষার আড়ালে জেহাদি প্রশিক্ষণের মতো ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় জিহাদি তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অনুমোদনহীন মাদ্রাসার অবস্থান। পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলি হিন্দুশূণ্য করে বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার ষড়যন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় তথাকথিত ‘সংখ্যালঘু’ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলি হিন্দু শূন্য করার চক্রান্ত এবং সেই সমস্ত স্থানে হিন্দুদের উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে পূজা করার মতো ধর্মীয় স্বাধীনতার অভাব। মহরম এর শোভাযাত্রার জন্য দূর্গা পূজার বিসর্জন স্থগিত করা, মৌলবাদীদের আপত্তির জন্য স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা। অবৈধ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন।
আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস:
দক্ষিণবঙ্গের কামদুনির ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা, উত্তরবঙ্গের গঙ্গাপুরের চোপড়ার মাম্পি সিংহ, কুমার গ্রামের প্রমিলা বর্মন, সিতাইয়ের ভোলাচাতরা গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংস হত্যার মতো জেহাদি বর্বরতা। পক্ষপাত দুষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে প্রশানের জিহাদিকরন। লাভ জেহাদ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, বোমা বিস্ফোরণ, বেআইনি অস্ত্রের ঝনঝনানি ১৩০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক কর্মীর নৃশংস হত্যা। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, ক্যানিং, কালিয়াচক, ডায়মন্ডহারবার, ধূলাগড়, সন্দেশখালি, শীতলকুচি, চোপড়ার মতো নিরন্তর ঘটে চলা হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা।
মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাথে রাজনৈতিক সমীকরণ:
স্বাধীনতার সাত দশক পরে শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গে আবার দেশভাগের জন্য দায়ী রাজনৈতিক সমীকরণ জন্ম নিচ্ছে। সেকুলার ফ্রন্ট তকমা নিয়ে দেশভাগকারী মুসলিম লীগের মতো একাধিক দল নির্বাচনী ময়দানে নেমে পড়েছে। জিন্নার মত নেতারা আবার প্রকাশ্যে মিটিং মিছিল শুরু করেছে। সংখ্যালঘু ভোটের লোভে বিভিন্ন পার্টি এদের সাথে প্রকাশ্যে কিংবা গোপন আঁতাত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের ঐক্য ও সংহতি অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক এই ধরণের অশুভ আঁতাতকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা প্রয়োজন।
তপশিলী জাতি, উপজাতি, ওবিসি-দের প্রতি বঞ্চনা
🔵 ইমামদের ২৫০০ টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের ১৫০০ টাকা প্রতি মাসে ভাতা: ২০১২ সালে যার আনুমানিক ব্যয় ছিল ১২৬ কোটি টাকা বর্তমানে আরো বেশি ভাতা ঘুরপথে ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
🔵শুধুমাত্র ২০১৯-২০ বর্ষে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তপশিলি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২০১৪-১৫ বর্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৭১.৪৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এবং তপশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাত্র ২৪০.৯৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
🔵 এবছরের বাজেটে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৪৬৯৪.১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ। সেখানে অনগ্রসর এবং উপজাতি বিভাগের জন্য ৩২৪০.১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। (পশ্চিমবঙ্গ বাজেট ২০২১-২২)
🔵মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষনের আওতায় আনা এবং পুলিশ, শিক্ষকসহ রাজ্যের বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাধান্য দেওয়ার ফলে এক বিরাট সংখ্যক অনগ্রসর হিন্দু সমাজের লোকেরা সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।