১৮৫৬-৫৭ সালের আগে বিতর্কিত জমিতে নিয়মত নামাজ পড়ার কোন প্রমাণ নেইঃ সুপ্রিম কোর্ট

নয়া দিল্লীঃ আজ বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যা মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে। সকাল ১০ঃ৩০ থেকে অযোধ্যা মামলা নিয়ে রায়দান শুরু হয়েছে। মামলা নিয়ে রায়ের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইট করে লেখেন, ‘অযোধ্যা (Ayodhya) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আজ সিদ্ধান্ত আসছে। এই সিদ্ধান্তে কারোর জয় বা হার হবেনা। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন সবার একটাই প্রাথমিকতা থাকুক যে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের শান্তি, একতা আর স্বদিচ্ছার মহান ঐতিহ্যকে আরও জোরদার করবে।” প্রথম মামলায় শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রথম দাবি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, ওই জমি তাঁরা হিন্দু পক্ষকে জমি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের দাবি খারিজ করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরেকটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘দেশের বিচার বিভাগের মান সম্মানকে সবার উপরে রেখে, সমাজের সকল পক্ষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো অতীতে একটি সুরেলা ও ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। আদালতের সিদ্ধান্তের পরেও আমাদের সবাইকে একসাথে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।”

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত শোনানোর সময় বলা হচ্ছে,  ASI প্রমাণ করতে পারেনি যে, সেখানে মন্দির ছিল আরেকটি বড় খবর হল, শুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ, বাবরি মসজিদের নীচে যা পাওয়া গেছিল সেটা ইসলামিক ছিল না জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের কথা অনুযায়ী, বাবরি মসজিদের নিজের খননে যা পাওয়া গেছিল, সেটা অনেক বড় রচনা ছিল আর সেটি ইসলামিক না।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৮৫৬-৫৭ সালের আগে বিতর্কিত জমিতে নিয়মত নামাজ পড়ার কোন প্রমাণ নেই। ১৮৫৬ সালের আগে হিন্দুরাও ওই খানে পূজা করত। বাধা আসার পর হিন্দুরা বাইরে পূজা করতে বাধ্য হয়। ১৯৩৪ সালের দাঙ্গার পর মুসলিমদের কবজা ছিলনা আর ওখানে। পুরাতত্ত্ববিদের প্রমাণ হিন্দুদের পক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.