লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন। ‘সুচাগ্র মেদিনী’ না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে রুখে দাঁড়িয়েছে ভারতও। ফলে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের পরিস্থিতি। আর ভারত-চিন (China) এই বিবাদের মধ্যে ফের গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো নিজের নাকটা গলিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ভারত ও চিনের সীমান্ত পরিস্থিতি খুব খারাপ। এবং আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরানোর কাজে সাহায্য করতে পারলে খুব খুশি হবে। অর্থাৎ সোজা কথায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব।
এর আগেও একইভাবে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেবারে ভারত এবং চিন দুই দেশই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। নয়াদিল্লি এবং বেজিং দুই দেশের তরফেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্ত ইস্যুতে তৃতীয় কোনও শক্তির হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাছোড়বান্দা। তিনি বলছেন,”ভারত এবং চিনের মধ্যেকার সীমান্ত পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। দুই দেশকে সম্মান জানিয়েই বলছি। আমরা ওদের সাহায্য করতে পারলে খুশি হব। দুই দেশের সঙ্গেই আমরা কথা বলছি। গোটা বিশ্বই চাইবে ওদের সাহায্য করতে।” কিন্তু ভারত ও চিনের বিবাদ মেটানোর সুযোগ পেলে কার পক্ষ নেবেন? সে ইঙ্গিতও এদিন দিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য কি চিন দায়ী? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলছেন,”আমি আশা করব এমনটা নয়। তবে, চিন অবশ্যই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।”
শুধু সীমান্ত পরিস্থিতি নয়, এদিন আরও একবার করোনা ভাইরাস নিয়েও চিনকে তোপ দেগেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে রাশিয়ার থেকেও চিন নিয়ে বেশি আলোচনা হওয়া উচিত। কারণ ওরা যেটা করছে সেটা আরও খারাপ। ভাবুন তো চিনা ভাইরাসটা ছড়িয়ে ওরা কী করল! ১৮৮টা দেশের কী পরিস্থিতি করল। আমার এটা একেবারেই ভাল লাগেনি। আমেরিকা, ইউরোপ, গোটা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে।”