গতকাল শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস, পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষাকে ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি তে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল এই নিয়ে প্রায় এক ঘন্টা রাজ্যপাল ন্যাসের প্রতিনিধি দলের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ডা. নিশীথ কুমার দাশ, ন্যাসের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের প্রদ্যোগিকী শিক্ষার রাজ্য সংযোজক এই প্রসঙ্গে গতকাল বলেন যে “বাংলা ভাষার ঐতিহ্য কে ভুলে গেলে চলবে না, এটা শুধুমাত্র একটি সংগঠনের দাবি হওয়া উচিত নয়, সমগ্র বঙ্গবাসীর এই বিষয় সমর্থন প্রদান করা উচিত এবং এই আওয়াজ আরো জোরদার করা উচিত”। অধ্যাপক সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, ন্যাসের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বায়ত্ততা প্রকল্পের রাজ্য সংযোজকও এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি বলেন,”এই বিষয়টিতে আপামোর বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে তাই ন্যাস এই সম্পর্কে যা যা করণীয় আছে তার সবটাই করবে”। এই বিষয়ে আই.আই.ই.এস.টি শিবপুরের অধ্যাপক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,”এই পুরো বিষয়টি রাজ্য সরকারের দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছানো উচিত ছিল কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান রাজ্য সরকার বিষয়টিকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে, তাই এবার সময় এসেছে বাংলা ভাষা কে যে করে হোক তার যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার এবং ন্যাস তার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”
প্রতিনিধি দলের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বঙ্গবাসী কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক ডা. দেবাশিস চৌধুরি এদিন মহামহিম রাজ্যপাল কে জানান তারা এই খানেই থেমে থাকবেন না দরকার পড়লে সর্বাত্মক আন্দোলনের পথেও নামবে শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস। রাজ্য সরকারের অবহেলার কারণে বাংলা ভাষার এতো বড়ো অপমান পশ্চিমবঙ্গবাসী মেনে নেবে না।
ন্যাসের কলকাতা জেলার সংযোজক দীপন মজুমদারও এদিন ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজ্যপালের সাথে বৈঠকের পর তিনি জানান যে,”বাংলা ভাষাকে জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০ তে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে, বিদ্যার্থীরা বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও আরো বেশি আগ্রহী হবে”। সব শেষে দেবাশিস বাবু বলেন রাজ্যপাল তাঁদের আস্বস্ত করেছেন যে এই বিষয়ে নিয়ে তাঁর যা যা করণীয় তিনি সেই সব জিনিস করবেন এবং সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করবেন যাতে ন্যাসের এই দাবি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়।
2020-08-25