হিন্দুদের একত্র ভোটের দরুন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তবে এখনও অবশ্য প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন পরিকল্পনা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের নীতি অনুযায়ী, তৃণমূলের একটা শাখা টিম তৈরি করা হয়েছে। এরা রাজ্যের বিভিন্ন শহরে গিয়ে বাংলাভাষী বনাম হিন্দিভাষীর দ্বন্দ লাগিয়ে হিন্দুএকতা ভাঙার উপর কাজ করছে। তৃণমূলের এই শাখাদলটি অবশ্য নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় লুকিয়ে রেখে কাজ চালাচ্ছে। তবে নদিয়ার কল্যাণী থেকে একটা খবর সামনে আসছে যে তৃণমূলের কপালে ভাঁজ তৈরি করবে।
আসলে নদিয়ার কল্যাণীতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটা বিজয়া সম্মেলনী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যাতে জনসাধারণের ভিড় ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে এটার দেখাদেখি তৃণমূলকংগ্রেস নদিয়ার কল্যানিতে একটা সভা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূল নেতা অরূপ মুখার্জীর নেতৃত্বে সভার কল্যানিতে বিজয়া সম্মেলন সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। বিকেল ৪ টেয় সেই সভা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু মানুষজন না আসায় সভাকে রাত ৮ টা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিষ্টির প্যাকেটের লোভ দেখিয়েও ভিড় জড়ো করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি, একসময় তৃণমূলের নেতারা বলে, আমাদের কোনো দোষ থাকলে ক্ষমা করুন, আপনারা দয়া করে মাঠে আসুন। কিন্তু তারপরেও জনতা নবাঙ্কুর সংঘের মাঠে আয়োজিত তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে রাজি হয়নি। ২০০০ মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ করা হবে বলে নাকি তৃণমূলের তরফ থেকে লোভ দেখানো হয়েছিল। তাই রাজ্যে শুধুমাত্র বাংলা ভাষী বনাম হিন্দি ভাষীর দ্বন্দ তৈরি করে তৃণমূল রাজনীতির খেলায় টিকে থাকতে পারবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্নঃ উঠছে।