শুরুটা হয়েছিল ২২ মার্চ ১৪ ঘন্টায় জনতা কার্ফিউ-এর মধ্যে দিয়ে। ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ২১দিনের লকডাউনের আহ্বান করলেন। সব রাজ্যসরকারই দিলেন সমর্থন। ১৪ এপ্রিল আবার ঘোষনা নরেন্দ্র মোদিজীর। লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখনও চলছে সেই লকডাউন। লকডাউনে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন প্রায় বন্ধ। পশ্চিমবঙ্গে প্রাকখারিফ ফসল চাষের সময়ও শেষ হতে চলল। তবু এত কষ্টের পরেও বলা যায় লকডাউনের সুফল পেয়েছে দেশ।
পৃথিবীর জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ মানুষ ভারতবর্ষে থাকেন। সেই দেশে আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পৃথিবীর মোট মৃত্যুর ০.৪ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর জনসংখ্যার ৪ শতাংশ বসবাস। কিন্তু পৃথিবীর মোট কোভিড-১৯ (Covid-19) মৃত্যুর ২৬ শতাংশই দুর্ভাগ্যযনকভাবে আমেরিকার অধিবাসী। আর-জিরো বা আর-নট নম্বর হল কোন রোগের সরাসরি সংক্রমন ক্ষমতা। গবেষনায় দেখা গেছে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে করোনা ১.৭ এ এসে আটকে গেছে। চিনে এই সংখ্যা ছিল ২.১৪, ইরানে ২.৭৩ আর ইতালিতে ২.৩৪।
কিন্তু লকডাউন তো অনন্তকাল চলবে না। দেশের মানুষ এতদিন ঘাম ঝরিয়ে যে সম্পদ উৎপাদন করেছে আমরা লকডাউনে তা ঘরে বসে খাচ্ছি।উৎপাদন আবার শুরু করতেই হবে। শিল্পের চাকা ঘোড়াতেই হবে, জমিতে প্রবেশ করবে লাঙ্গলের ফলা, ব্যাবসা বানিজ্য স্বাভাবিক হতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই গরীব পরিযায়ী শ্রমিক। তাই লকডাউন তুলতেই হবে। তবে লকডাউন উঠে গেলেই কি করোনার ভয় চলে যাবে? জীবন আবার ছন্দে ফিরবে?
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এক আইনজীবী চিনের বিরুদ্ধে ২০ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন, কোভিড-১৯ (Covid-19) ছড়ানোর জন্য। জার্মানির অর্থমন্ত্রী করোনার মহামারিতে আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আত্মহত্যা করেছেন। ৫৪ বছর বয়সী থমাস শ্যেফারকে বার্লিনে একটি রেললাইনের ধারে পাওয়া গেছে। গুজব উঠেছিল যে জার্মানি ১৩০ বিলিয়ান পাউন্ড ক্ষতিপূরনের মামলা করেছে চিনের বিরুদ্ধে। যাই হোক না কেন, পশ্চিমের বিনিয়োগকারীদের চিনের উপর থেকে মোহভঙ্গ হয়েছে। চিনে খুব অল্প পয়সায় শ্রমিক পাওয়া যায়, শ্রমিক আন্দোলনের, দাবীদাবার ভয় নেই, এইসব একুশে আইনের লোভে প্রায় সারা পৃথিবী চিনের স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর উপর ঝাপিয়ে পরেছিল। চিনে প্রতিবাদহীনভাবে শোষন করা যায় শ্রমিকদের। এই পাপের যে এতবড় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তা ভাবেন নি পূজিপতিরা! আজ করোনা উত্তর পৃথিবীতে বিনিয়োগের অন্যতম বড় জায়গা হয়ে উঠবে ভারত। ফেসবুক রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৪হাজার কোটি টাকার বানিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই লকডাউনের সময় মানুষ কতটা সংযম দেখিয়েছেন তার উপর আগামীদিন নির্ভর করছে। এ রাজ্যে সরকার যতটা স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে, ভেদাভেদ ভুলে যত কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন হাতে রেখেছেন লকডাউনের পরে কষ্ট তত কম হবে। যদি আজ কিছু লুকিয়ে রাখি তবে চিকিথসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাবে। ডাক্তারবাবু, নার্সিং স্টাফ বা স্বাস্থকর্মীরা আক্রান্ত হবেন, কোয়ারেন্টাইনে যাবেন বা গোটা হাসপাতাল বন্ধ রাখতে হবে। কমিউনিটি রোগ বিস্তার লাগামছাড়া হবে। রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট হবে।
সবকিছু মিলিয়ে যা মনে হচ্ছে ভীষন অলৌকিক কিছু ঘটে না গেলে আগামী এক দুই বছর অন্তত করোনা বিপদ থেকে মুক্তি নেই। করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও ভারতবর্ষের মত দেশে রোগ নির্মূল করা সহজসাধ্য নয়। তাই ধরে নিতে হবে যে আমরা যেমন যক্ষা রোগ নিয়ে, চিকেন পক্স নিয়ে সমাজে বেঁচে আছি, নভেল করোনা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। তাই আমাদের জীবনযাত্রাই হয়ত আমূল বদলে যাবে।
করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়ার কাজও যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে করতে হবে। পলিও ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত ভারতবর্ষেও সমস্যা হয়েছিল। মৌলবাদী কুসংস্কার এবং তার গোষ্ঠীবদ্ধ প্রচার পলিওমুক্তির পথে উপমহাদেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ কিন্তু সমাজের সব অংশকে তৈরী হতে হবে মানুষের মনকে কুসংস্কারমুক্ত করার জন্য। কোভিড-১৯ (Covid-19) এর ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে গ্রাম থেকে শহরকে।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বড় সমস্যা হবে উপসর্গহীন আক্রান্তরা। বাজারে যার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি করোনা আক্রান্ত এবং বাহক কিন্তু নিজের শরীরে আপাতভাবে কোন অসুস্থতা নেই। তাই তিনি যদি মুখে মাস্ক না পরে বাজার করেন তবে আপনি মাস্ক পরিধান করলেও খুব লাভ হবে না। তাই মাস্ক পরা ও পরানোটা আমাদের বেশ কিছুদিনের সঙ্গী হয়ে গেল।
সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও অনুষ্ঠানের আড়ম্বর বিগত বছরগুলিতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ছেলের পাঁচ বছরের জন্মদিন এত ঘটা করে হত যে বিয়ে না জন্মদিন বোঝা যেত না। পারিবারিক অনুষ্ঠান যেন সম্পন্নতা আর প্রতিষ্ঠা দেখাবার প্রতিযোগিতার জায়গা হয়ে উঠেছিল। আমাদের আবার আগের ব্যাবস্থায় ফিরে যেতে হবে, যেখানে পারিবারিক অনুষ্ঠান কেবল পরিবার আর খুব নিকটজনের সঙ্গেই করতে হবে। সহৃদয় কিন্তু অনারম্বর হয়ে উঠবে বিয়ে, অন্নপ্রাসন, জন্মদিনের বা ইফতারের অনুষ্ঠান। বাড়ির ভেতরে কার্পেট হয়ত থাকবে না, ঘরের দেওয়াল জীবানুপ্রতিরোধক করার চেষ্টা হবে, বাইরের জুতো পরে ঘরে ঘোরা যাবে না। হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার ব্যাবস্থা ঘরে ঢোকার মুখেই রাখতে হবে। কাউকে নিমন্ত্রণ করলে বিধিনিষেধ বলে দিতে হবে। ‘আমরা সোশাল ডিস্টেন্স মেনে চলি’ সেই সূচনা দিয়ে নিমন্ত্রন করতে হতে পারে।
প্রান্তিক মানুষদের খাদ্যের হাহাকার আগামী বর্ষার শুরুতেই ভয়ানক হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার তো বটেই সমগ্র সমাজকে সজাগ থাকতে হবে। সমাজের অন্তিম ব্যাক্তি পর্যন্ত অন্তত একবেলার পেটভরে খাবার ব্যাবস্থাটাই আগামী একবছরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আজ রাজনৈতিক দল বা উৎসাহী সংগঠন অতি সক্রিয় হয়েছেন। কিন্তু মিডিয়ার ক্যামেরা সরে গেলেও লক্ষ লক্ষ নিরন্ন মানুষের পেটে খিদে থাকবে। এদের খাওয়ার ব্যাবস্থা করা, সেবার কাজ মাসের পর মাস চালানো সহজ নয়। তবে বাংলা রামকৃষ্ণ মিশন বা ভারত সেবাশ্রম সংঘের মত সংগঠনের জন্মস্থান। যে সংগঠনগুলি ‘শিবজ্ঞানে জীব সেবার’ পাঠ সারা ভারতবর্ষকে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে হাজারে হাজারে শ্রমিক বছরের একটা বড় সময় ধরে মহারাষ্ট্রে, গুজরাতে, কর্নাটকে, তামিলনাড়ুতে বা কেরলে থাকেন। ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কসম্যান (রেগুলেশেন অফ এম্পয়মেন্ট এন্ড কন্ডিসন অফ সার্ভিসেস) আইন অনুসারে সব কজন শ্রমিকদের মহকুমা হিসাবে সবার তথ্যই রাজ্যসরকার শ্রম দপ্তরের কাছে আছে। শ্রম আইনের শ্রমিক সুরক্ষা যোজনা (State Assisted Scheme of Provident Fund for Unorganised Workers (SASPFUW) থাকার জন্য কর্মহীন শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের থেকে প্রোভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাবেন।তাই ওই শ্রমজীবী মানুষগুলির স্বার্থে মহকুমা হিসাবে পরিযায়ী শ্রমিকের তালিকা প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন।
রাজ্য সরকার যদি এখনই যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে এই কাজ না করেন তবে বিপদ ঘটবে অচিরেই। কারণ শ্রমিকেরা ঘরে ফিরে এলেও আবার কাজে যাওয়ার কি ব্যাবস্থা হবে সেটা সত্যিই অনিশ্চিত। এই বিপুল পরিমান বেকার শ্রমশক্তি এবং তাদের রোজগারের ব্যবস্থা এ রাজ্যের জন্য এক বড় সমস্যা হবে। তখন সমাজে শোষন বাড়বে। শ্রমিক ন্যুনতম মজুরি পাবেন না। রাজার হস্ত সমস্ত কাঙালের ধন চুরি করবে।শ্রমিক অসংগঠিত হলে, গরীব মানুষ অসহায় হলে আজও তার সুযোগ নেবার লোক জুটে যাবে। কেন্দুপাতার দাম পাবে না, উপজাতিদের জমিতে অবাধে পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার বসবে, সারাদিন বাবুই ঘাস সংগ্রহ করে সন্ধ্যার এককেজি চালও ঘরে নিয়ে যেতে পারবে না জঙ্গলমহলের মানুষ।
মহাত্মা গান্ধী আজ থেকে ঠিক একশ বছর আগে যে গ্রাম স্বরাজের কথা বলেছিলেন তা আজ ভীষনভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার “স্বদেশী সমাজ” বক্তৃতায় এই সমাজের অমিত শক্তির বর্ণনা করেছেন। এই বিপুল শ্রমশক্তিকে তাদের নিজের জেলাতেই কাজে লাগানো যায় কিনা, তা ভাবার সময় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীন কারুশিল্প সারা ভারতে বিখ্যাত। কিন্তু সেইসঙ্গে ইংরেজ আমল থেকেই গ্রামীন ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পও বাংলায় বিদ্যমান।
সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আছে গ্রামীন গুচ্ছ শিল্প। হাওড়ার জগতবল্লভপুর-বরগাছিয়ার মত শতশত গ্রামের অস্তিত্ব এখনো আছে যেখানে গ্রামের ঘরে ঘরে যন্ত্রাংশ তৈরী হয়। মানসিংহপুরের কোন গৃহবধূ দুপুরে রান্না করে, নিজে খেয়ে তারপর এক দুই ঘন্টা ক্যাপ্সটেন লেদ চালান, তারপরে ভাতঘুম। তেমনই বারুইপুরের সার্জিকাল ইন্সট্রুমেন্টের গুচ্ছশিল্প। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার উৎপাদন কেন্দ্র আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে।কেবল আধুনিক প্রযুক্তির পরশপাথর ছোঁয়ালেই মানুষ সোনা ফলাবে। সারা পৃথিবী পেতে চায় এই “হ্যান্ড ক্র্যাফটেড সার্জিকাল ইন্সট্রুমেন্ট”।
অরগ্যানিক ভেজিটেবল নিশ্চয়ই এক নতুন দীগন্ত আনতে পারে। কোন রকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই শাকসব্জি আর খাদ্যশস্য উৎপাদন। সার পৃথিবী আজ সেই দিকেই তাকিয়ে। ইউরোপ বা আমেরিকার কোন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে একটি বিভাগই থাকে “বায়ো প্রোডাক্ট” বলে। সব্জি থেকে দুধ সবই ‘বায়ো’ হিসাবে পাওয়া যায়। যেসবে কোন রাসায়নিক নেই। আর সেই সব খাদ্যবস্তুর দাম তিনগুন বেশী।
আজকের যুগে সিঙ্গুরের কৃষিজমি থেকে অরগ্যানিক নটেশাক বা কচি ঢ্যাঁড়স জেনেভাতে ঠিক ২৪ঘন্টার মধ্যেই পৌছোতে পারে। আমাদের দেশের মহানগরগুলিতেও অরগ্যানিক শব্জি এবং খাদ্যশস্যের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত হারে। এর জন্য সঠিক সাপ্লাই চেন তৈরীর প্রয়োজন।
জাপানের বিজ্ঞানী মাসানবু ফুকুওকা তাঁর “দ্য ওয়ান স্ট্র রেভলিউশন” গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে কোন নদীমাতৃক ভুমিতে ১০ বছর ধরে টানা জৈব সার ও জৈব কীটনাশক প্র্য়োগ করলে রাসায়নিক প্রয়োগের থেকে বেশী ফসল উৎপন্ন হয়। পশ্চিমবঙ্গের মত উর্বর মাটিতে এই অরগ্যানিক চাষের বড় প্রকল্প চলতে পারে গ্রাম ভিত্তিক বড় গোশালা স্থাপনের মাধ্যমে। গো-ভিত্তিক কৃষি আজকের পরিস্থিতিতে একান্ত উপযোগী হতে পারে এই রাজ্যের জন্য। এরজন্য বাংলার নদীমাতৃক জেলাগুলিতে গোসংরক্ষনের ও গো-ভিত্তিক কৃষির ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। গ্রামের শিক্ষিত যুবক দুধ, ঘি, মাখন, ছানা, পঞ্চগব্য, ভার্মি কম্পোস্ট, গো-ভিত্তিক জৈব কীটনাশক ইত্যাদির ব্যাবসায় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
আজকের গ্রাম স্বরাজ হতে হবে ই-গ্রাম স্বরাজ। কম্পিউটার প্রযুক্তির দেশীয় মেধা দেশের কাজে লাগার সময় এসেছে। এই সংকটের মূহুর্তে মানুষকে যে সেবা ডাক্তারবাবুরা দিচ্ছেন,তেমনই রাজ্যের দুমুঠো অন্নের ব্যাবস্থা করতে পারে এই রাজ্যের প্রয়ুক্তিবীদ আর বিজ্ঞানীর দল।এক একটি গ্রামের স্বাবলম্বনের নেতৃত্ব দেবেন সেই গ্রামেরই শিক্ষিত যুবসমাজ। এই পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতেই হবে।
এইকাজ ঠিকমতো আর ঠিক সমায়ে না হলে বিপদ শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশে এমন শক্তি অতিমাত্রায় সক্রিয় যারা গনতান্ত্রিক ভারতবর্ষের বিপক্ষে। অন্নহীন, বিভ্রান্ত মানুষ এঁদের কাছে তথাকথিত “সংগ্রামের হাতিয়ার”। যে মানুষটা দিনের শেষে পরিবারের জন্য দুমুঠো খাবার আনতে পারবে না তাকে বিভ্রান্ত করা অনেক সহজ। তখনই ক্ষুধার অন্ধকার চাদরের ভেতর দিয়ে ঢুকবে কৌটো, তার, ডেটোনেটর। তাই কেবল কান্ডারী নয় নৌকার প্রতিটি যাত্রিকেই আজ হুশিয়ার থাকতে হবে।
জিষ্ণু বসু