চলতি মাসের ৩০ তারিখে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে একটি জনসভার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই জনসভাতেই নাকি বিজেপিতে (BJP) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। আর ততই জোরালো হয়েছে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর গলায় শোনা গিয়েছিল ‘ভারত মাতার জয়’ স্লোগান। তারপর থেকেই জোরালো হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধায়কের দলবদলের সম্ভাবনা। সম্প্রতি অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরেও শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। হাসিমুখে শুভেন্দুর যোগদানের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও, সূক্ষ্ম একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি। মনে করা হচ্ছে সেই ইঙ্গিতই বাস্তবায়িত করতে চলতি মাসের শেষেই আবার কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ।
২৩ জুলাই তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর দেখা যায় দলের পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়া হয়েছে। ছয়টি জেলার সাংগঠনিকভাবে দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাখা হয়েছে তাঁকে। এভাবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তার ডানা ছেঁটে দেওয়ায় নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিশির অধিকারীর মেজো ছেলে। তার জেরেই নাকি দল ছাড়তে চাইছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোর কাঁথির বাড়িতে গিয়ে দিন কয়েক আগে পিতা শিশির অধিকারী সঙ্গে বৈঠক করলেও সমস্যা মিটেনি বলেই সূত্রের খবর। দিল্লি বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত শাহের ফের কলকাতায় আগমনের কথা। সে কথা জানার পরেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই রাজ্য মন্ত্রিসভা ও তৃণমূল থেকে দিন স্থির করে ফেলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পিতা ও ভাই এখনই বিজেপিতে যোগ না দিলেও, তাঁর অনুগামী বেশকিছু বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলেই অনুমান বিজেপি নেতৃত্বের। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলে ভাঙন আরও ত্বরান্বিত হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।